1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুচির মুক্তির আপিল নাকচ মিয়ানমারের সর্বোচ্চ আদালতে

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সুচির মুক্তির আপিল আবেদন শুক্রবার নাকচ করে দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত৷ আরও ১৮ মাসের জন্য সুচির গৃহবন্দি অবস্থা বাড়ানোর বিরুদ্ধে এই আপিল করা হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/MCNH
ফাইল ফটোছবি: AP

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বছর মিয়ানমার জান্তাপ্রধান থান শয়ে'র প্রতিশ্রুত সাধারণ নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্যই সুচিকে আটকে রাখা হল৷ ওদিকে, সুচিকে মুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে ‘আহত ও দুঃখিত' হয়েছেন তিনি৷

সুচির আইনজীবী এবং তাঁর দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি' (এনএলডি) এর মুখপাত্র নিয়ান উইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আপিলটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে৷ তাঁরা শুধু রায়টা পড়ে শোনালো৷ কিন্তু সেখানে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি৷ ফলে আমরা জানিনা কেন এটা প্রত্যাখ্যান করা হল৷''

সুচির আইনজীবী দল জানিয়েছে, তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মিয়ানমারের প্রধান বিচারপতির কাছে একটি বিশেষ আপিল করবেন তারা৷ নিয়ান উইন জানিয়েছেন শুক্রবারই ওই আপিল করা হবে৷ এনএলডি মুখপাত্র আরও জানান, পরবর্তী ধাপ হবে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি লেখা এবং বিচারকদের বিশেষ প্যানেল গঠন করে ইয়াঙ্গুনে এর শুনানির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো৷ এটা করা না হলে নতুন রাজধানী নয়াপিদাও-এ একইরকম বিশেষ শুনানির আবেদন করার সুযোগ আছে তাদের৷

শুক্রবার সাবেক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে এই রায় ঘোষণার সময়ে আদালতে উপস্থিত করা হয়নি সুচিকে৷ ইয়াঙ্গুনে নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় এক মার্কিনির সাঁতরে লেকে পার হয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ার ঘটনার জের ধরে গত বছরের আগস্ট মাসে সুচির গৃহবন্দি অবস্থা আরও ১৮ মাসের জন্য বাড়ানো হয়৷

গত ২০ বছরের মধ্যে প্রায় ১৪ বছরই হয় কারাগারে নয় গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন মিয়ানমারের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এনএলডি নেত্রী সুচি৷ ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচনে এনএলডির বিপুল বিজয় সত্ত্বেও দলটিকে সরকার গঠন করতে না দিয়ে দলীয় প্রধান সুচিকে আটক করে ক্ষমতা দখল করেন মিয়ানমারের সামরিক কমান্ডাররা৷ এরপর থেকেই সেখানে সামরিক জান্তার শাসন চলছে এবং দেশটিতে আর কোনো নির্বাচন অনুষ্টিত হয়নি৷

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, সুচিকে মুক্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্তে ‘আহত ও দুঃখিত' হয়েছেন তিনি৷

ওদিকে, ইয়াঙ্গুনে এই আপিল শুনানি প্রত্যক্ষ করতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ, ফরাসি, মার্কিন এবং অস্ট্রেলিয় রাষ্ট্রদূতরা৷ কূটনীতিকরা মনে করছেন, সত্যিকারের জাতীয় সংহতি এবং গণতন্ত্রের পথে যাত্রার জন্য মিয়ানমারে সুচির মুক্তি অপরিহার্য৷ সুচির মুক্তি ছাড়া মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচন আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলেও মনে করেন তারা৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক