‘সুন্দরী নারী’ নিয়ে অনেক প্রতিক্রিয়া | পাঠক ভাবনা | DW | 25.07.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘সুন্দরী নারী’ নিয়ে অনেক প্রতিক্রিয়া

‘সুন্দরী নারী পুরুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর' শিরোনামে প্রতিবেদনটি পড়ে না হেসে পারলাম না – এভাবেই তাঁর ইমেল শুরু করেছেন বগুড়ার শিবগঞ্জের ভাটরা থেকে বন্ধু এমএ বারিক৷

তিনি লিখেছেন, ‘‘সুন্দরকে সবাই ভালোবাসে৷ আমরা সব সময় সুন্দর কিছু আশা করি৷ সুন্দর নারী, সুন্দর বাড়ি আর সাথে সুন্দর একটা চাকরি থাকলেতো কোনো কথায় নেই৷ এমন সব চাওয়া পাওয়া শুধু বাঙালিদের নয়৷ বিবেকবান মানুষ হলে তো এসব কিছুই চেয়ে থাকে৷ মানুষের আবেগকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য ডয়চে ভেলেকে আরেকবার ধন্যবাদ৷''

পাঠক বারিক বেশ কয়েকটি ইমেল পাঠিয়েছেন৷ তাঁর লেখা পরের ইমেলটি এরকম – ‘‘সামনে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর৷ তাই তো রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি৷ যেন সরকারি কর আদায়ে তারা ব্যস্ত৷ চাঁদা আদায়ের এসব দৃশ্য নতুন কিছু নয়৷ প্রতি বছর ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের নানামুখী দুর্ভোগের কথা উঠে এসেছে আপনাদের ওয়েবসাইটে৷ প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল এরকম ‘প্রতি বছর ঈদের সময় ঘরে ফেরা মানুষদের নানামুখী দুর্ভোগে পড়তে হয়'৷ যাদের ভাগ্যে টিকিট মেলে, তাদের গুনতে হয় অতিরিক্ত অর্থ৷ এমন অবস্থায় কি সরকারের কিছুই করার নেই, নাকি সরকারও এসব লোভী মানুষগুলোর একটি৷ যারা সময় বুঝে সাধারণ মানুষের কাছে থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাসিল করে তাদের শাস্তি চাই৷''

পরের ইমেল, ‘‘আমি ক্লাব কর্মকান্ড জানিয়ে আপনাদের কাছে একটি ছবি সহ ইমেল পাঠিয়েছি৷ অনেক আশা করেছিলাম আমার ক্লাব কর্মকান্ডের খবর ডয়চে ভেলের পাঠক ভাবনায় স্থান পাবে৷ কিন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ডয়চে ভেলে থেকে আমি কোনো সাড়া পাইনি৷ ফলে আমার ক্লাবের সদস্যগণ হতাশ৷ ডয়চে ভেলে আমার ক্লাবের প্রতি বৈষম্য করায় আমিও হতাশ৷ তাছাড়া আমার যতগুলো চিঠি ডয়চে ভেলের পাঠক ভাবনায় স্থান পেয়েছে সেসব চিঠিগুলোর কোনোটাতেই আমার ক্লাবের নাম দেওয়া হয়নি৷ ডয়চে ভেলের কাছে আমার প্রশ্ন, এখন কি আপনারা কোনো ক্লাবকেই মূল্যায়ন করেন না? এই ইমেলটি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি৷ আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে আমার ক্লাব থেকে সামনে আরও নতুন নতুন কর্মসূচি নেয়া হবে৷ তাই উত্তরের অপেক্ষাই রইলাম৷''

- ভাই বারিক, আপনার ইমেল আমরা পেয়েছি এবং মনোয়োগ দিয়ে পড়েছি, ধন্যবাদ৷ আপনি ঠিকই লক্ষ্য করেছেন যে আপনার নাম ঠিকানার সাথে ক্লাবের নামটি দেওয়া হয়না৷ আসলে আমাদের রেডিও অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবার পর থেকে পাঠক বন্ধুদের কাছ থেকে খুবই কম চিঠিপত্র পাচ্ছি৷ আগে ক্লাব গঠন করার জন্য শ্রোতাদের উৎসাহ দেওয়া হতো, শ্রেষ্ঠ ও কর্মমুখর ক্লাব নির্বাচন করা হতো, শুধু ক্লাবগুলোর জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো ডয়চে ভেলে থেকে৷ সেসব কিছুই আর এখন হচ্ছে না৷ ক্লাবগুলোরও কিছু নিয়মকানুন ছিলো, যেমন প্রতি সপ্তাহে অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত জানিয়ে আমাদের কাছে চিঠি লিখতে হবে, ক্লাবের পক্ষ থেকে ডয়চে ভেলেকে জনপ্রিয় করতে ক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে এবং সেসবের ছবি আমাদের কাছে পাঠাতে হবে, ইত্যাদি নানা বিষয়৷ এসব কিছুই আর এখন হয় না৷ তবে কখনো হবে না সেকথা অবশ্য বলা যায় না৷ আশা করবো আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন এবং মতামত জানাবেন৷ আপনি এখন নিয়মিত আমাদের কাছে মতামত লিখে পাঠাচ্ছেন সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বাংলা বিভাগের সবার পক্ষ থেকে৷

বারিকের লেখা পরের ইমেল৷ ‘‘জার্মানির একটি মসজিদ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা যেখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন ১২০০ মুসল্লি৷ সুবহানআল্লাহ! এই প্রতিবেদনটি একজন মুসলমানের কাছে খুবই আনন্দের সংবাদ৷ এমন সব প্রতিবেদনের জন্য ডয়চে ভেলেকে ম্যানি ম্যানি থ্যাংকস৷ সামনে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈলুল ফিতর৷ এই ঈদ নিয়ে আপনাদের কি কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা আছে? থাকলে জানাবেন আশা করি৷''

এই বন্ধুরই লেখা আজকের শেষ ইমেল৷ ‘‘ডয়চে ভেলের ক্যান্টিনের খবর দিয়ে ছবিঘরটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে৷ এ ধরনের মানসম্মত খাবার সব শ্রেণির মানুষের জন্যই প্রয়োজন৷ খাবার মানুষের শক্তি যোগায়, কর্মে উৎসাহ আনে৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

নির্বাচিত প্রতিবেদন