1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সৃষ্টিকর্তা নয়, হল্যান্ড তৈরি হয়েছে ডাচদের হাতেই’

২২ মার্চ ২০১১

দুবাইয়ের পাম আইল্যান্ড, নিউ অর্লিয়ন্সের খাল এবং অস্ট্রেলিয়ার পানি পুনর্ব্যবহারের প্ল্যান্ট – এসব প্রযুক্তিই এসেছে হল্যান্ড থেকে৷

https://p.dw.com/p/10eqy
হল্যান্ডছবি: AP

এর কারণ হল পানির অত্যাধুনিক ব্যবহার এবং পানিকে স্থলভাগ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার প্রযুক্তিতে ডাচরাই সেরা – পৃথিবীর প্রতিটি দেশ একবাক্যে সেকথা স্বীকার করছে৷

প্রচলিত আছে ‘গড ক্রিয়েটেড দ্য আর্থ, বাট দ্য ডাচ মেড হল্যান্ড'৷ অর্থাৎ খোদা পৃথিবী তৈরি করেছেন, কিন্তু ডাচরা তৈরি করেছেন হল্যান্ড৷ কথাটা কিন্তু একেবারে মিথ্যে নয়৷ কারণ প্রায় এক হাজার বছর আগে প্রযুক্তির সহায়তায় সমুদ্রের পানি সরিয়ে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল দেশটির প্রায় ৭০ ভাগ৷

এক হাজার বছর ধরে নেদারল্যান্ডস প্রকৃতির সবচেয়ে কঠিন শত্রুর মোকাবিলা করছে – সেই শত্রু পানি৷ কথাগুলো জানান ‘ইউনিয়ন অফ ডিস্ট্রিক্ট ওয়াটার বোর্ডস'এর হানেকে হেরেস৷ বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে আর সেই সঙ্গে সমুদ্রে পানির স্তর যেভাবে বাড়ছে এর ফলে ডাচদের এই প্রযুক্তিতে বিশ্বের প্রতিটি দেশই আগ্রহ দেখাচ্ছে৷

এই মুহূর্তে বিশ্বের পাঁচটি দেশে অত্যন্ত উন্নত এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে ডাচরা৷ দেশগুলো হল – মোজাম্বিক, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম৷

প্রশ্ন হলো, কীভাবে এত আগে ডাচদের হাতে এই প্রযুক্তি এলো? শিশুদের রূপকথার গল্প থেকেই তার যাত্রা শুরু৷ গল্পটা এরকম – নেদারল্যান্ডস প্রতি বছর বন্যায় ভেসে যায়৷ একটি বালক দেশকে ভালবেসে বন্যার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে চায়৷ যে খাল দিয়ে প্রতি বছর বন্যার পানি আসতো, ছেলেটি খালে একটি ছিদ্র করে দেয়৷ ফলে সব পানি সেই ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে যায়৷ খাল হয়ে যায় শুকনো, খটখটে – বন্যার হাত থেকে রক্ষা পায় দেশটি৷ ব্যাস! এভাবে বিভিন্ন খাল খনন করেই পানিকে দূরে সরিয়ে রেখেছে ডাচরা৷

প্রায় এক হাজার বছর আগে জমে থাকা শক্ত বালুর ওপর বাড়ি তৈরি করতো ডাচরা৷ বালু পানি শুষে নেয়৷ এভাবেই দেশটিকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করেছে তারা৷

এরপর বছরের পর বছর গড়িয়েছে৷ প্রযুক্তি আরো অত্যাধুনিক হয়েছে৷ এসেছে ড্রেজিং বোট, ওশান ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি৷ হল্যান্ডের ‘ডেলটা-টেকনোলজি' এখন বিশ্বব্যাপী পরিচিত৷ বন্যার হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে সবাই সাহায্য চাইছে নেদারল্যান্ডসের কাছে৷ শিশুদের রপকথার দেশটিও বসে নেই৷ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক