1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘তাঁর জীবনে একটি বিশেষ অধ্যায় চলছিল'

২৬ জুন ২০১৭

হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ৷ ইসলামের পথে ফিরে আসা নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপীর জীবনের এই পরিবর্তন নিয়ে সাক্ষাৎকারনির্ভর বইটি এ মুহূর্তে তুমুল আলোচনায়৷ বইটির সহ-লেখক আবদুল্লাহ আল ফারুকের সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে৷

https://p.dw.com/p/2fNdb
ফাইল ছবিছবি: Getty Images/AFP

ডয়চে ভেলে: হ্যাপিকে নিয়ে বইটি লেখার আইডিয়া কিভাবে এলো?

আবদুল্লাহ আল ফারুক: চার মাস আগে হ্যাপী ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন যে,তাঁর জীবনে যে পরিবর্তন এসেছে,তা নিয়ে তিনি একটি বই লিখতে চান৷ হ্যাপীর ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্টে কোনো পুরুষ নেই৷ আমার স্ত্রী ছিলেন তাঁর ফ্রেন্ডলিস্টে৷ তাঁর মাধ্যমেই আমি হ্যাপী বা আমাতুল্লাহ'র সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ এরপর একসময় আমাতুল্লাহ জানান যে,তিনি অসুস্থ, খতে পারবেন না৷ যদি সাক্ষাৎকারভিত্তিক হয়,তাহলে বইটি লেখা যেতে পারে৷ আমরা এরপর সেভাবেই এগোই৷

সাক্ষাৎকার নেয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

Faruk Main - MP3-Stereo

আমার স্ত্রী যখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন, তখন পরিপূর্ণ পর্দার ভেতরে, অর্থাৎ এক রুমে আমার স্ত্রী ও আরেক রুমে আমাতুল্লাহ ছিলেন৷ আমার স্ত্রী প্রশ্ন করেন, আমাতুল্লাহ উত্তর দেন৷ আর আমি ও আমাতুল্লাহ'র স্বামী আবদু্ল্লাহ ভাই আরেক রুমে ছিলাম৷ নিজেরা গল্প করছিলাম৷ আমাতুল্লাহ এতটাই ধর্ম মানেন যে, এতদিন আমি তার বাসায় গিয়েছি, তাঁর রান্না খেয়েছি, কিন্তু কোনোদিন তাঁর কন্ঠস্বর শুনিনি৷

তাঁর এই পরিবর্তনের কারণ কী, তা কি বলেছেন?

বইয়ের ১০৪টি প্রশ্নের অধিকাংশই এই বিষয়টি নিয়ে৷ আগের জীবনে তিনি সারাদিন শুটিং শেষে রাতে সাধারণত হিন্দি বা বলিউডের গান, নাটক এসব দেখতেন৷ একদিন হঠাৎ করে ইউটিউবে একটি ইরানি ছবি দেখেন হযরত ঈসা (আ.)-এর ওপর৷ এরপর তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর আরেকটি ইরানি ছবি দেখেন৷ এগুলো তাঁর মনে অনেক দাগ কাটে৷ তিনি জানিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁর জীবনে একটি বিশেষ অধ্যায় চলছিল, যার কারণে তাঁর মন ভেঙে গিয়েছিল৷ ভাঙা মনে এসব ছবি তাঁকে আরো বেশি মুগ্ধ করে৷ তখন তাঁর উপলব্ধি হয়৷ এরপর তিনি সমস্ত ‘গুনাহর কাজ' ছেড়ে ইসলামের পথে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন৷

পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনুন অডিওতে৷

আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তবের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য