1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেনাবাহিনী মিশরে গণতন্ত্র আনবে তো?

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মিশরে শুরু হলো মুবারক-পরবর্তী যুগ৷ সারা দেশ জুড়ে এখনো চলছে উৎসব৷ কিন্তু এরই মাঝে উঁকি দিচ্ছে আরেকটি আশঙ্কা৷ কারণ দেশ এখন সেনাবাহিনীর হাতে৷

https://p.dw.com/p/10GIa
মিশরীয় সেনাবাহিনীর সদস্যছবি: dapd

মুবারক-পরবর্তী প্রথম দিন

মানুষ এখনো উৎসবের মধ্যে আছে৷ তারা নাচছে, গাইছে৷ সারারাতই তারা এরকম করেছে৷ শুধু তাহরির চত্বর নয়, পুরো মিশর জুড়েই একই চিত্র দেখা যাচ্ছে৷ কেউ বলছেন, তারা কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবেন নি যে, এমন দিন আসতে পারে৷ আরেকজন বলছেন, মানুষকে এত আনন্দিত হতে তিনি এর আগে দেখেন নি৷ সকালের দিকে সেনাবাহিনী তাহরির চত্বর ঘিরে রাখা ট্যাঙ্ক সরিয়ে ফেলেছে৷ তবে এই সেনাবাহিনী নিয়েই মানুষের মনে এখন একটা ক্ষীণ আশঙ্কা বিরাজ করছে৷ কারণ দেশ এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে৷ তাই অনেক বিক্ষোভকারী বলছেন, তারা এখনই তাহরির চত্বর ছেড়ে যাবেন না৷ আগে দেখবেন সেনাবাহিনী কী করে৷ তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন৷ ২৬ বছরের এক বিক্ষোভকারী বলছেন, তিনি চান না সেনাবাহিনী দেশ চালাক৷

Ägypten Kairo Rücktritt Mubarak
মানুষের উল্লাসছবি: AP

সেনাবাহিনীর বিবৃতি

কিছুক্ষণ আগে সেনাবাহিনীর পক্ষে থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে৷ সেখানে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা তুলে দেয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে৷ এছাড়া বর্তমান সরকার সাময়িকভাবে ক্ষমতায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে৷ আর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব চুক্তি আগের মতই থাকবে বলেও সেনাবাহিনী ঐ বিবৃতিতে জানিয়েছে৷ উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি মেনে চলার জন্য মিশরের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল ইসরায়েল৷ এরই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর পক্ষে থেকে এই আশ্বাস দেয়া হলো৷ এর আগে আরব বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘আল-আরাবিয়া' বলছে, শীঘ্রই মন্ত্রিসভা ও সংসদ ভেঙে দেবে সেনাবাহিনী৷ এছাড়া ‘সাংবিধানিক আদালত'এর প্রধানকে দেশ পরিচালনায় আনা হবে৷ তবে এরপরও সেনাবাহিনী নিয়ে মানুষের মনে আশঙ্কা থাকার কারণ হলো, সেনা পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ হুসেইন টানটাউই অনেক দিন ধরেই মুবারকের খুব কাছের লোক ছিলেন৷

সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট

কয়েকজনের নাম সামনে আসছে৷ এর মধ্যে একজন হলেন আরব লিগ প্রধান আমর মুসা৷ ১০ বছর ধরে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন৷ এবং স্পষ্ট কথা বলার জন্য তিনি বিখ্যাত৷ মুসা বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি আরব লিগ থেকে পদত্যাগ করবেন৷ প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ এছাড়া জাতিসংঘের আনবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ও নোবেল জয়ী আল বারাদেই-ও একজন সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য