1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপির যোগদানের আশা

সমীর কুমার দে, ঢাকা৩ জুন ২০১৩

সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বসছে নবম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন৷ অধিবেশনের শুরুতেই প্রধান বিরোধী দল সংসদে যোগ দিচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত নয়৷ তবে আগামী রবিবার বা সোমবার বিরোধী দলের সংসদে যোগ দেয়ার আভাস পাওয়া গেছে৷

https://p.dw.com/p/18iib
A Bangladeshi laborer sweeps the pavement outside the national parliament building in Dhaka, Bangladesh, Friday, April. 6, 2007. Bangladesh's national elections, already delayed amid deadly violence over allegations of ballot-rigging will not be held for at least a year and a half, the top election official in the military-backed interim government said. (ddp images/AP Photo/Pavel Rahman)
ছবি: AP

নবনিযুক্ত স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এই অধিবেশন পরিচালনা করবেন৷ এটিই নতুন স্পিকারের প্রথম অধিবেশন৷ এই বাজেটই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের শেষ বাজেট৷ এই বাজেট অধিবেশন হচ্ছে চলতি নবম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশন৷ সংসদের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৯০ কার্যদিবসের বেশি দিন সংসদে যোগ না দিলে সংসদ সদস্য পদ বিলুপ্ত হয়ে যায়৷ সেই হিসেবে বিরোধী দলের অধিকাংশ সদস্যের সদস্য পদ টিকিয়ে রাখতে এই অধিবেশনেই তাদের যোগ দিতেই হবে৷

সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘বিরোধী দল সংসদে আসুক এবং কথা বলুক, আমরা সব সময়ই তা চাই৷ শুধু সদস্য পদ টিকিয়ে রাখার জন্য সংসদে আসলে তো হবে না৷'' তিনি বিরোধী দলকে সংসদে অবস্থান করে কথা বলারও অনুরোধ করেন৷ কোনো প্রস্তাব থাকলে তাও দিতে বলেন৷

প্রধান বিরোধী দল বেশ কিছুদিন ধরে দাবি করে আসছিল, সংসদে যোগ দিতে হলে তাদের কারাগারে আটক সংসদ সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে৷ তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম কারারন্দি বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের মুক্তি দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ পাশাপাশি নবনিযুক্ত স্পিকারও মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে আদালতের প্রতি অনুরোধ করেছিলেন৷ এমন অবস্থায় রবিবার সকালে বিরোধী দলের কারাবন্দি দুই সংসদ সদস্য এম কে আনোয়ার ও বরকতউল্লাহ বুল আদালতে জামিনের আবেদন করেন৷ আদালত তা মঞ্জুরও করেছেন৷ রবিবার বিকেলেই তারা মুক্তি পেয়েছেন৷ ফলে এখন সংসদে যোগ দেয়া বিএনপির জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে৷

সোমবার উপস্থাপন করা বাজেটের আকার থাকছে দুই লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার৷ আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেয়ারবাজার চাঙ্গা করতে এই বাজেটে বেশ কিছু উদ্যোগ থাকছে৷ এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের করমুক্ত সীমা বাড়ানো, প্রিমিয়ামে কর অব্যাহতি, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের বিনিয়োগে কর রেয়াত এবং কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ অব্যাহত রাখা৷ ইতিমধ্যে শেয়ারবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকও ৯০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য