1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোমালিয়ার জলদস্যুদের পিছু নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রণতরী

৭ এপ্রিল ২০১০

সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা ট্যাঙ্কার উদ্ধার করতে দক্ষিণ কোরিয়া একটি রণতরী পাঠিয়েছে৷ গত রবিবার সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ১,৮৫০ কিলোমিটার দূরে ট্যাঙ্কারটি ছিনতাই করে জলদস্যুরা৷

https://p.dw.com/p/Moig
রণতরীছবি: US Navy

ট্যাঙ্কারটি তেল নিয়ে ইরাক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা যাচ্ছিল৷ দক্ষিণ কোরিয়ার পাঁচজন ও ফিলিপাইনের ১৯ জন মাল্লা রয়েছে ট্যাঙ্কারটিতে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নৌবাহিনীর একটি রণতরীকে ছিনতাই হওয়া ঐ ট্যাঙ্কারের পিছু নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জলদস্যুদের প্রধান আবদি ইয়ারকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে ট্যাঙ্কারটিকে সোমালিয়ার হোবিও বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, হোবিও হলো জলদস্যুদের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি, যেটি রাজধানী মোগাদিশু থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত৷

Somalische Piraten vor Gericht in Kenia
জলদস্যুদের ঠেকাতে কঠোর আইন চায় রাশিয়াছবি: picture-alliance / dpa

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওমানের নৌবাহিনী গত মাসে ছিনতাই হওয়া ভারতীয় একটি জাহাজ ও তার আট নাবিককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে৷ সোমালিয়ার উপকূলে টহল দেয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ওমানের নৌবাহিনীর সদস্যরা ভারতীয় জাহাজটি দেখতে পায়৷ পরে অভিযান চালিয়ে সেটিকে উদ্ধার করে৷ তবে অভিযান চলার সময় এক নাবিক ভয়ে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে মারা যান৷ উল্লেখ্য, জলদস্যুরা গতমাসের শেষ সপ্তাহে মোট আটটি ভারতীয় জাহাজ ছিনতাই করেছিল৷ পরে অবশ্য ২৬ জন নাবিকসহ দুটি জাহাজ ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা৷ বাকী জাহাজগুলো উদ্ধারে ভারত সোমালিয়ার সরকারের সাহায্য কামনা করেছে৷

অন্য আরেকটি ঘটনায়, হল্যান্ডের নৌবাহিনী ছিনতাই হওয়া একটি জার্মান পণ্যবাহী জাহাজ উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে৷ তবে এই উদ্ধার অভিযানের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ব অনুমতি নেয়নি হল্যান্ডের নৌবাহিনী৷ দেশটির সামরিক সূত্র বলছে, মূলত আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই তাঁরা শুধুমাত্র নিজ সরকারের অনুমতি নিয়েই অভিযান চালিয়েছিলেন৷ ঐ ঘটনায় ১০ জলদস্যুকেও আটক করতে সমর্থ হয় হল্যান্ড৷

এদিকে ক্রমবর্ধমান জাহাজ ছিনতাই ঠেকাতে একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো তৈরি করতে আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের কাছে আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া৷ জলদস্যুদের যেন জাতীয় আইনে শাস্তি দেয়া যায় সে ব্যাপারে আইন প্রণয়নে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ উল্লেখ্য, বর্তমানে এধরণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন অভিযানে আটক জলদস্যুদের শাস্তি দেয়া যাচ্ছে না৷

প্রতিবেদন : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : অরুণ শঙ্কর চৌধুরী