1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোমালিয়ায় ইংরেজি ও বিজ্ঞান শিক্ষায় ইসলামপন্থিদের নিষেধ

৯ মার্চ ২০১০

সোমালিয়ার আফমাডো শহরে উগ্র ইসলামপন্থিরা স্কুলে ইংরেজি ও বিজ্ঞান শিক্ষা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে৷ উদ্বিগ্ন সেখানকার বাসিন্দা ও শিশ্ক্ষকরা৷

https://p.dw.com/p/MNhE
সোমালিয়ায় উগ্র ইসলামপন্থিদের দাপট কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে নাছবি: AP

দক্ষিণের আফমাডো শহরটি কেনিয়ার সীমান্তের অদূরে৷ সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গি ইসলামি গোষ্ঠী আল শাবাব-এর বিদ্রোহীরা তিনটি স্কুলকে ইংরেজি আর বিজ্ঞান শিক্ষা তুলে দিয়ে আরবি ভাষা ও ইসলাম শিক্ষা চালু করার জন্য এক মাস সময় দিয়েছিল৷ শাবাব চেয়েছিল তাদের হাতে ছাত্রদের তুলে দেয়া হোক৷ তারা তাদের মিলিশিয়া বাহিনীতে ঢোকানোর জন্য ট্রেনিং দেবে৷ এই প্রস্তাব স্কুলগুলো প্রত্যাখ্যান করে৷

সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন আল শাবাব-কে ওয়াশিংটন আফ্রিকার এই গৃহযুদ্ধপীড়িত দেশ সোমালিয়ায় আল-কায়দা সন্ত্রাসী সংগঠনের দোসর বলে দেখে থাকে৷ তাদের লক্ষ্য সোমালিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করা এবং কঠোর শরিয়া আইন চাপিয়ে দেয়া৷ সোমালিয়ার দক্ষিণের অধিকাংশ এলাকা এবং রাজধানী মোগাদিশুর কিছু অংশ ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এই বিদ্রোহী সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করে৷ আদালত চালায় তারা৷ তাদের ধর্মীয় নেতারা সে আদালতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়৷ বেত্রাঘাত ও হাত কেটে ফেলার ফতোয়া দেয়৷ 

জঙ্গি ইসলামি সংগঠনটি তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সিনেমা, বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ-গান করা এবং ফুটবল খেলা দেখা বা খেলা নিষিদ্ধ করেছে৷ আফমাডোর তিনটি স্কুল আল শাবা-র নির্দেশ মেনে নেবার পর পুনরায় স্কুলের কাজকর্ম শুরু হয়৷ আরবি শিক্ষা না থাকার কারণে ২৩ জন শিক্ষককে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়৷

আল শাবাবের নির্দেশের শিকার একটি স্কুলের এক শিক্ষার্থীর মা সাইফা আলী বলেন, তিনি প্রাথমিক পর্বে তার সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠিয়েছিলেন যাতে তারা পরে পশ্চিমা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, যে-শিক্ষা তাদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকায় সাহায্য করবে৷

প্রতিবেদক : আসফারা হক

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক