1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোয়েটো নাচল, গাইল বিশ্বকাপের আগমনীতে

১১ জুন ২০১০

শাকিরা এবং এ্যালিসিয়া কীস, সেই সঙ্গে সোমালি ব়্যাপার ক’নান, জোহাসেনবার্গের হাজার হাজার মানুষ দশ ডিগ্রীর নীচে তাপমাত্রার তোয়াক্কা না করে তাদের গান শুনেছেন৷ এ’ যে আফ্রিকার বিশ্বকাপ৷

https://p.dw.com/p/NnuE
গান গাইছেন মার্কিন তারকা ফার্গিছবি: AP

অর্ল্যান্ডো স্টেডিয়ামে এ'দিন বাজি মাত করেছেন ক'নান, তাঁর ‘ওয়েভিং ফ্ল্যাগ' ফুটবল এ্যান্থেমটি দিয়ে৷ তিনি স্টেজ ছেড়ে চলে যাবার অনেক পরেও জনতা গেয়েছে: ‘‘ও, ও, ও৷'' খোদ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা বলেছেন: ‘‘সাউথ এ্যাফ্রিকা ইজ রকিং, সাউথ এ্যাফ্রিকা ইজ কুল৷'' ৩৪,০০০ দর্শকদের অনেকেই নিজেদের দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি কিংবা ফ্ল্যাগে মুড়ে এসেছিলেন৷ তারই মধ্যে আবার মার্কিন স্টেটসন হ্যাট কিংবা মেক্সিকান সমব্রেরো টুপিও দেখতে পাওয়া গেছে৷ খোদ নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী, কিংবদন্তীর পুরুষ আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হলদে জার্সি পরে, নাচতে নাচতে৷ বলেছেন: ‘‘আফ্রিকা হল মানবজাতির আঁতুড়ঘর৷ আমরা তোমাদের নিজেদের বাড়িতে স্বাগত জানাচ্ছি৷ আমরা সকলেই আফ্রিকান৷''

তবে সোয়েটোর সোল সিংগার লিরা যখন মিরিয়াম মাকিবা, দক্ষিণ আফ্রিকার ‘‘মামা আফ্রিকা''-র সেই অবিস্মরণীয় ‘পাটা পাটা' গানটি দিয়ে জলসা শুরু করেন, তখন সোনায় সোহাগার মতো তাঁর সাথে ছিলেন মাকিবা'র প্রাক্তন স্বামী, জ্যাজ ট্রাম্পেটার হিউ মাসেকেলা৷ পরে আসে মার্কিন ব্ল্যাক আইড পীজ দলের হিট ‘‘আই গটা ফিলিং''৷ সন্তানসম্ভবা এ্যালিসিয়া কীস, ক'নান, একটি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্ল্যাক রক গ্রুপ এবং সবশেষে শাকিরা৷ শাকিরা আধা জুলু সাজে নাচলেন, গাইলেন এবং তাঁর শেষ গান হিসেবে বেছে নিলেন - না, বাছতে হয়নি - গাইলেন ‘‘ওয়াকা ওয়াকা - দিস টাইম ফর আফ্রিকা''৷ সঙ্গে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার এ্যাফ্রোপপ গ্রুপ ‘‘ফ্রেশলি গ্রাউন্ড''৷

‘ওয়াকা ওয়াকা' নাকি বড্ড ল্যাটিনো, স্থানীয় সঙ্গীতশিল্পীদের আরো গাইতে দেওয়া হয়নি কেন, এ' সব সমালোচনা ততোক্ষণে ধুয়ে মুছে গেছে৷ কেননা এ'তো শুধু আফ্রিকার বিশ্বকাপ নয়, এ' যে সারা বিশ্বের বিশ্বকাপ৷ এবং উপলব্ধিটা পারষ্পরিক৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক