1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষার্থীদের ওপর মরিচের গুঁড়ো স্প্রে করা কি ঠিক?

২২ মে ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রের এক হাইস্কুলে ক্রিমিনাল সায়েন্স টেকনোলজি ক্লাসে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের উপর পেপার, অর্থাৎ গোলমরিচের গুঁড়ো স্প্রে  করা হয়৷ সেই দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/2dM6v
USA Protest gegen Polizeigewalt in St. Paul, Minnesota
যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে গোলমরিচের গুঁড়ো স্প্রে করছেন এক পুলিশ সদস্যছবি: Reuters/A. Bettcher

ওহাইয়োর বারবেটন হাই স্কুলে ক্রিমিনাল সায়েন্স টেকনোলজি কোর্সের অংশ হিসেবে একটি পরীক্ষায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা৷ সেখানে কোর্সের শিক্ষক তাদের উপর আলাদাভাবে পেপার স্প্রে বা মরিচের গুঁড়ার স্প্রে ব্যবহার করেন৷ সেই সময় সেখানে কিছু অভিভাবক এবং পুলিশও উপস্থিত ছিলেন৷ অবশ্য পরীক্ষাটি করার আগে এই স্প্রে’র ফলে শরীরে কী ধরণের প্রতিক্রিয়া হতে পারে, সে সংক্রান্ত একটি কাগজে অভিভাবকদের সই আগেই করিয়ে নিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ৷

কিন্তু শোনা, দেখা আর করার মধ্যে যে ভীষণ পার্থক্য সেটা পরীক্ষার সময় টের পেলেন শিক্ষার্থীরা, পাশাপাশি অভিভাবকরাও বুঝলেন এটা যেনতেন কোনো স্প্রে নয়৷ স্প্রে দেয়ার সাথে সাথে একজন আর এক জনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চিৎকার করতে থাকলো৷ কেউ বললো সে আর পারছে না৷ কেউ আবার বললো তার চোখ দিয়ে যেন লাভা বের হচ্ছে৷

ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের আর্তনাদ আর যন্ত্রণা দেখে অনেকেই শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমালোচনা করেছেন৷ ১৭ ই মে ঐ ভিডিওটি প্রসঙ্গে ‘ইনসাইড এডিসন’ আর একটি ভিডিও নির্মাণ করেছে৷ তারা যে অভিভাবক ভিডিওটি করেছিলেন তাঁর ও তাঁর সন্তানের সাক্ষাৎকারসহ এই ভিডিটিও ইউটিউবে আপলোড করে৷ এখন পর্যন্ত ভিডিওটি অন্তত ৫ লাখ বার দেখা হয়েছে৷ ভিডিওটির নীচেও অনেকে মন্তব্য করেছেন৷ একজন লিখেছেন, ‘‘আমি তো ভেবেছিলাম স্কুলে শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে৷ যেহেতু অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অনুমতি নিয়ে এটা করা হয়েছে, আমি এতে ভুল কিছু দেখছি না৷’’

এপিবি/এসিবি