স্কুল, কলেজ বন্ধ করে দিয়েও যানজটের উন্নতি হয়নি
১৭ আগস্ট ২০১০মঙ্গলবারের পত্রিকাগুলোতে এই বিষয়টিই উঠে এসেছে৷ ইত্তেফাক আর যুগান্তর তাদের প্রধান প্রতিবেদন করেছে এই বিষয়টিকেই৷ যুগান্তর অবশ্য যানজটের সঙ্গে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির বিষয়টিও উল্লেখ করেছে প্রতিবেদনে৷ বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতেও সরকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ এর ফলে সারা দেশের সিএনজি স্টেশনগুলো সোমবার ছয় ঘন্টা বন্ধ ছিল৷ সরকারের সিদ্ধানেতর কারণে প্রতিদিনই বন্ধ রাখতে হবে স্টেশনগুলো৷ এতে করে যে গ্যাস সাশ্রয় হবে সেটা দিয়ে আরও বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ কিন্তু যুগান্তর বলছে, সরকারের এই সিদ্ধান্তটাও কার্যকর হয়নি৷ কারণ পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি৷ বরং এর ফলে যেটা হয়েছে যে, গ্যাসের অভাবে সিএনজি চলাচল করতে না পারায় যানবাহনের সংখ্যা কমে যায়৷ এই সুযোগে সিএনজি চালকরা ভাড়া দুই-তিনগুন বাড়িয়ে দিয়েছিল৷
ইব্রাহিম হত্যাকান্ড
দৈনিক সমকালের আজকের প্রধান প্রতিবেদন এটি৷ শিরোনাম ‘‘ইব্রাহিম ‘মৃত্যু' রহস্য ঘনীভূত''৷ সমকাল বলছে, শুক্রবার এই হত্যাকান্ডটি ঘটার পর ঘটনার তদন্তে এখন নাকি মনে হচ্ছে এটি ‘পরিকল্পিত'৷ এছাড়া হত্যাকান্ডের সঙ্গে সরকারি দলের সাংসদ, যিনি কিছুদিন আগে বিএনপি'র মেজর হাফিজকে উপ-নির্বাচনে হারিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন, সেই নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের কোনো ভূমিকা আছে কিনা তাও নাকি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এই হত্যাকান্ডের পর একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে৷ সরকারি দলের এক প্রভাবশালী নেতা এই অপমৃত্যু মামলা নেয়ার জন্য পুলিশের ওপর চাপ দিয়েছিলেন৷ পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে এমনটাই বলেছেন৷ এছাড়া পরিস্থিতি ধামাচাপ দিতে ইব্রাহিমের স্ত্রী রীনা ইসলামকে নাকি অর্থের লোভ দেখানো হচ্ছে৷ এমনকি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাঁকে কমিশনার বানানোরও প্রলোভন দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা৷ এদিকে দৈনিক যুগান্তরে ইব্রাহিমের স্ত্রীর একটি বক্তব্য ছাপা হয়েছে৷ সেখানে তিনি বলেছেন, সাংসদ শাওনের ন্যাম ফ্লাটেই নাকি খুন করা হয়েছে ইব্রাহিমকে৷ পুলিশের এক সূত্র নাকি এমনটাই বলেছে ইব্রাহীমের স্ত্রীকে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম