1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পেনের শসা থেকে ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ

২৭ মে ২০১১

ইউরোপের বেশ কিছু দেশে এবার পাওয়া গেছে ই.কলি নামক ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের খবর৷ তবে জার্মানির কিছু সবজিতে এর অস্তিত্ব প্রথম পাওয়া গেলেও তার উৎস মূলত স্পেন থেকে আসা শসা বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/11PPl
ছবি: AP

শসা, টমেটো এবং সালাদের জন্য ব্যবহৃত লেটুস পাতায় প্রথম ই.কলি ব্যাক্টেরিয়ার অস্তিত্ব চিহ্নিত করে জার্মানির রবার্ট-কখ ইন্সটিটিউট৷ ফলে সাময়িকভাবে এসব সবজি কাঁচা খেতে নিষেধ করা হয়৷ কারণ গত কয়েকদিনে জার্মানির বেশ কিছু শহরে মানুষের দেহে অস্বাভাবিক হারে রক্ত আমাশয় এবং ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়৷ এছাড়া সম্প্রতি যারা জার্মানি ঘুরে গেছেন, তাদের দেহেও এই ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷

পরিস্থিতির গভীরে যেতে গবেষণা অব্যাহত রাখেন জার্মানির বিজ্ঞানীরা৷ অবশেষে, হামবুর্গ ইন্সটিটিউট ফর হাইজিন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট - এইচইউ শুক্রবার জানালো, স্পেন থেকে আমদানি করা শসা থেকেই এই ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে৷ হামবুর্গের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, এই ব্যাক্টেরিয়া আক্রান্ত যে শসাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, সেগুলোর প্রতি চারটির তিনটিই স্পেন থেকে আমদানি করা৷

এন্টেরোহেমোরেজিক ই. কলি তথা ইএইচইসি নামের এই ব্যাক্টেরিয়ার ছোবল এখন শুধু জার্মানিতেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের কয়েকটি দেশেও৷ সতর্কতামূলক এবং জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণে নড়ে চড়ে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ স্টকহোম ভিত্তিক রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক ইউরোপীয় দপ্তর ইসিডিসি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ই.কলির সংক্রমণে হিমোলাইটিক-ইউরেমিক সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ২৩২ জন৷ এদের মধ্যে ১৮৬ জনই ১৮ বছর বয়সি ছেলে-মেয়ে৷ এছাড়া আক্রান্তদের ১৪৬ জনই নারী৷

শুধুমাত্র জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছে ২১৪ জন এবং মারা গেছে অন্তত পাঁচ জন৷ সুইডেনে দশ জনের দেহে ই.কলির প্রকোপ চিহ্নিত হয়েছে৷ অবশ্য তাদের চার জনই সম্প্রতি জার্মানি ঘুরে গেছে৷ এছাড়া ডেনমার্কে চার, যুক্তরাজ্যে তিন এবং নেদারল্যান্ডসে একজনের দেহে ধরা পড়েছে ই.কলি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ৷ অবশ্য এটা নিয়ে অতিরঞ্জিত বক্তব্য কিংবা আতঙ্ক যেন না ছড়ায় সেব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন জার্মান কৃষিমন্ত্রী ইলজে আইগন্যার৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক