1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্প্যানিশ বিশ্বে ঘুড়ি ওড়াবে বলিউডের ‘কাইটস'

৮ মে ২০১০

মেক্সিকোর বারবারা মোরি ও বলিউডেরই ঋত্বিক রোশন অভিনীত ‘কাইটস' ছবিটি স্প্যানিশ ভাষাভাষী বিশ্বে বলিউডকে পাকাপাকিভাবে প্রতিষ্ঠা করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/NJHP
ভারতে রেডিওর শ্রোতাদের ‘কাইটস’ ছবি সম্পর্কে আগাম আভাস দিলেন ঋত্বিকছবি: UNI

ভারতের সীমানা পেরিয়ে বলিউডের প্রভাব-প্রতিপত্তি বহুকাল আগেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল৷ গত কয়েক বছরে তার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে৷ তবে এখনো অনেক অঞ্চল রয়েছে, যেখানে বলিউড তেমন পরিচিত নয় – যেমন স্প্যানিশ ভাষাভাষী অঞ্চল৷ ইউরোপের দেশ স্পেন এবং গোটা ল্যাটিন আমেরিকায় ব্রাজিল ছাড়া সব দেশেরই প্রধান ভাষা স্প্যানিশ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই ভাষা যথেষ্ট ব্যবহার করা হয়৷ এবার বলিউডের নজর পড়েছে এই অঞ্চলের দিকে৷

Bollywood-Star Shah Rukh Khan auf Plakat zu neuem Film
‘মাই নেম ইজ খান’ ইতিমধ্যেই বিশ্ব জয় করেছেছবি: AP

এই বাড়তি আগ্রহের মূল কারণ ‘কাইটস' নামের চলচ্চিত্রটি৷ ছবিটি আগামী ২১শে মে মুক্তি পাচ্ছে, কিন্তু এখনই সেটিকে ঘিরে যথেষ্ট আগ্রহের সৃষ্টি হচ্ছে৷ নায়ক বলিউডেরই ঋত্বিক রোশন৷ নায়িকা মেক্সিকোর বারবারা মোরি৷ ছবিতে তিনি স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে গেছেন৷ মেক্সিকোর রুক্ষ মরুভূমি এলাকায় ছবির একটা বড় অংশের শুটিং হয়েছে৷ ঋত্বিকের বাবা রাকেশ রোশন ছবিটির প্রযোজক৷ তিনি জানিয়েছেন, ‘কাইটস' সম্পর্কে ইতিমধ্যেই স্প্যানিশ ভাষাভাষী দেশগুলিতে যথেষ্ট আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে৷ সেখানকার ডিস্ট্রিবিউটাররা ছবিটির সত্ত্ব কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন৷ অর্থাৎ বিশ্বের অনেক দেশেই ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে৷ ছবিটির বাঙালি পরিচালক অনুরাগ বসু বলেছেন, ‘‘তারা ভারতীয় চলচ্চিত্র সম্পর্কে তেমন খবর রাখেন না৷ আমি মনে করি ‘কাইটস'ই হবে প্রথম ছবি, যা তাদের হৃদয় জয় করবে৷ তবে আন্তর্জাতিক দর্শকরা প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ছবি দেখতে অভ্যস্ত নন বলে, তাদের জন্য অনুরাগ ছবিটির একটি পরিমার্জিত সংস্করণ বানিয়েছেন৷ তাতে আবার নাকি এমন কিছু উত্তেজক দৃশ্য রয়েছে, যা আবার ভারতীয় দর্শকদের জন্য ভাবা হয় নি৷

এর আগে শাহ রুখ খান অভিনীত ছবি ‘মাই নেম ইজ খান'ও আন্তর্জাতিক বাজারে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছিল৷ ছবিটির ডিস্ট্রিবিউটার আমেরিকার ফক্স স্টার স্টুডিওস বলেছিল, এটিই বলিউডে তৈরি আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য উপযুক্ত প্রথম ছবি৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জাহিদুল হক