1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বপ্ন এবং জার্মানি, পর্ব ১

ফারজানা কবীর খান২৪ ডিসেম্বর ২০০৮

স্বপ্নের দেশ জার্মানি৷ নাম শুনলেই মনে হতো মেঘের উপর কোন দেশ৷ যেখানে অনেক পাহাড় আর শুধু সবুজ৷ যখনই আমায় কেউ প্রশ্ন করতো যদি কখনও সুযোগ আসে কোথায় যেতে চাই আমি৷ এক বাক্যে উত্তর দিতাম জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/GMc4
ফ্রান্কফুর্ট এয়ারপোর্টছবি: AP

অনেকের মুখে নাম শুনেছি কিন্তু বই থেকে প্রথম পরিচয় আমার জার্মানির সাথে৷ রুপকথার গল্প থেকে আমার বই পড়ার হাতেখড়ি৷ ঠাকুমার ঝুলি, মামদো আর জামদো ভুত৷ এইসব পড়ে মাথার ভেতর লাল- নীল নানান রঙের স্বপ্ন৷ প্রথমে রাশিয়ান রূপকথা, তারপর চীনের রুপকথা ৷ এরপর জার্মান রূপকথা৷

জার্মানি৷ হাজারো রূপকথার জন্ম এখান থেকে৷ আমার মনে দাগ কাটে লোরেলাই মৎসকন্যার গল্প৷ আর একটি রোমান্টিক রূপকথা৷ যেখানে অসংখ্য পাহাড় , ঘন বন আর রাইন নদীর কথা লেখা৷ সেই রাইন নদীর যেখানে ডুব দিয়েছিল লোরেলাই৷ অনেক প্রাসাদ, সায়েন্স, বিশ্বযুদ্ধ, এখানকার ভাষা, সংস্কৃতি সবকিছু টানতো আমায় ভীষনভাবে৷

সেই স্বপ্নের দেশে এসে পৌঁছালাম আমি ২০শে নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়৷ আমার বিমান নামছে ফ্রাংকফুর্ট এয়ারপোর্টে৷জানালা দিয়ে দেখছি ঝলমলে আলোয় আলোকিত ফ্রান্কফুর্ট এয়ারপোর্টকে৷ এয়ারপোর্টে নামার পর ইমিগ্রেশনে দাড়ালাম ৷

ইমিগ্রেশনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে৷ একটি ইউরোপিয় ইউনিয়নের পাসপোর্টধারীদের জন্য এবং আরেকটি ইউরোপিয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর জন্য৷ লাইনে দাঁড়ানোর পর ইমিগ্রেশন অফিসার প্রশ্ন করলেন প্রথমবারের মতো জার্মানিতে এলাম কিনা­? বললাম হ্যাঁ৷ ডয়চে ভেলের ফেলোশিপ নিয়ে এসেছি৷ ডয়চে ভেলের নাম শুনে ইমিগ্রেশন অফিসার আমাকে জার্মানিতে প্রবেশ করার অনুমতি দিলেন৷ ডয়চে ভেলে এতদিন যার খবর শুনতাম, যেখানে কাজ করে সব স্বপ্নের মানুষগুলো৷

(চলবে ...)