স্বপ্ন এবং জার্মানি, পর্ব ৩
৭ জানুয়ারি ২০০৯মার্কেটে মার্কেটে স্যান্টাক্লস৷ ছোটবেলা থেকে আমি শুধু বই পড়ে আর সিনেমা দেখে স্যান্টাক্লসকে চিনি৷ অনেক সুন্দর এই লাল পোশাকধারী স্যান্টা৷ তার কাছে বাচ্চাদের মতো চকলেট চাইলাম৷ অদ্ভুত ব্যাপার ! স্যান্টাক্লস হেসে চকলেট দিলেন আমায়৷
এরপর গেলাম বন-এর একটি জাদুঘরে৷ যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সম্পূর্ণ ইতিহাস সমন্ধে জানা যায়৷ দেখলাম অতীতের জার্মান টেকনোলজি এবং বর্তমান টেকনোলজির তফাৎ৷ রাস্তায় যখন বের হলাম চারিদিকে শুধু মার্সিডিজ, ফোকস ভাগেন, বিএমডব্লিউ ,পোরশে অথবা ফোর্ড৷ কচিৎ কখনও টয়োটা দেখা যায়৷আর আমি যে দেশ থেকে এসেছি সেখানে টয়োটা এবং টয়োটার জয়জয়কার৷ অনেক সুন্দর একটি দেশ৷ আমি যেখানে আছি যেদিকে তাকাই শুধু সবুজ পাহাড় আর অরণ্য৷ এর মাঝেও দু-একজন মানুষকে রাস্তায় থাকতে দেখি৷ খুব অবাক হলাম আমি৷ জানতে পারলাম আসলে ওরা রাস্তায় থাকতে চায় বলেই রাস্তায় থাকে৷ সরকার ওদেরকে থাকার জন্য জায়গা দিলেও ওরা সেখানে থাকতে পছন্দ করেনা৷
এখানে ট্রামে-বাসে চড়ছি, রাস্তায় হাঁটছি , কখনও একটা লোককেও দেখলাম না যে আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে বা কোন ধরনের কমেন্ট করছে৷ রাতের বেলা রাস্তায় ঘুরছি অথচ পরিবেশ কত নিরাপদ৷সবাই এত ভদ্র৷ এর মাঝে দেখা হলো বন ইউনিভার্সিটি, ইসালন, ওয়েষ্টকিষাণ, আর রাতের বেলার কোলন ডোম, ক্যাথিড্রাল৷ রাতে যাওয়ায় কোলন ডোমের ভেতরে ঢুকতে পারলাম না আমি৷ কিন্তু ঠিক পাশেই ভাইনাক্টস মার্ক্ট৷ সাথে চলছে কনসার্ট আর গ্লু-ভাইন৷ দারুণ শহর এই কোলন আর বন৷ সত্যিই স্বপ্নের দেশ জার্মানি৷