স্বাস্থ্যবিষয়ক নানা প্রশ্নের উত্তর, সমাধান
জিহ্বায় সাদা আবরণ হয় কেন, পায়ে কড়া পড়ার কারণ কী অথবা হাতের নখ ভাঙে কেন? নাকের রক্ত বন্ধ করার উপায়ই বা কী? বিশেষজ্ঞের দেয়া এরকম নানা প্রশ্নের উত্তর থাকছে এই ছবিঘরে৷
নাক দিয়ে রক্ত পরা বন্ধ করবেন কীভাবে?
নাক দিয়ে রক্ত বের হলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ ভয় পায়৷ যা খুব সহজেই এটা বন্ধ করা সম্ভব৷ ছবির মতো করে দুই থেকে পাঁচ মিনিট নাক চেপে ধরে রাখলেই রক্ত বন্ধ হয়ে যাবার কথা৷ যদি না হয় একইভাবে আবার করতে হবে৷ এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে ‘আইসব্যাগ’ নাক এবং তার পাশে কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখলে রক্তের ধমনী সংকুচিত হয়ে রক্ত পরা বন্ধ হবে৷ তবে সাবধান, কোনোভাবেই শুয়ে নয়, এতে ফল খারাপ হতে পারে৷
জিহ্বায় সাদা আবরণ কেন হয়?
অনেক সময় জিবে সাদা আবরণ দেখা যায়৷ ডাক্তারের কাছেও আমরা লক্ষ্য করি যে, অসুখ নির্ণয়ের জন্য তিনি জিহ্বা পরীক্ষা করেন৷ কিন্তু এমনটা হয় কেন? পেটের সমস্যা, কোনো সংক্রমণ বা রোগের লক্ষণ, মুখের ভেতরের জীবাণু বেড়ে যাওয়া বা ডায়বেটিস – নানা কারণ থাকতে পারে৷ এমনকি অতিরিক্ত জীবাণুনাশক ‘মাউথওয়াশ’ ব্যবহার করা থেকেও জিহ্বায় সাদা আবরণ দেখা দিতে পারে৷ তবে বেশি দিন যদি এই সমস্যা থাকে তবে ডাক্তার দেখানো উতিৎ৷
পায়ের আঙুলে কড়া পড়লে কী করণীয়?
জুতোর মাপ ঠিক না হলে, অর্থাৎ জুতো পরে হাঁটার সময় পায়ের যেখানে চাপ পড়ে সেখানকার ত্বক শক্ত হয়ে যায় এবং তা বেশ বেদনাদায়কও হতে পারে৷ এক্ষেত্রে ‘স্যালিসিলিক অ্যাসিড প্লাস্টার’ ব্যবহার এবং পেশাদার ‘পেডিকিউর’-এর মাধ্যমে ‘ফুটবাথ’ করানো উচিত৷ টিপস: একটি বড় কিসমিস পায়ের কড়ার ওপর বসিয়ে, ভালো করে প্লাসটার দিয়ে আটকে দিন৷ এতে কড়ার চামড়া নরম হবে এবং কিসমিস থাকায় বালিশের মতো মনে হবে এবং ব্যাথাও কম লাগবে৷
হাতের আঙুলের ভঙ্গুর নখ
শরীরে পুষ্টি এবং ভিটামিন ‘ডি’ এবং ‘বি’-এর অভাব হলে অনেকের হাতের নখ বারবার ভেঙে যেতে পারে৷ এছাড়া গৃহাস্থালীর কাজ বা অতিরিক্ত ‘নেলপলিশ রিমুভার’ ব্যবহারেও এমনটা হতে পারে৷ তাই এমন হলে ভালো করে বাদাম তেল বা অ্যাপ্রিকট তেল হাতে মাখলে উপকার পাওয়া যায়৷ তবে বেশ কয়েক সপ্তাহ পরও যদি এই সমস্য দূর না হয়, তবে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত৷
রাতে হাত-পায়ের ব্যাথায় কী করবেন?
হাত বা পায়ের পেশিতে ব্যাথা যার হয়েছে, শুধুমাত্র সেই মানুষটিই এই কষ্টের কথা জানে৷ এটা অবশ্য তেমন ক্ষতিকর কোনো কারণ ছাড়াই হতে পারে৷ অথবা হতে পারে ‘হাইহিল’ বা উঁচু জুতো পরার কারণেও৷ সাধারণত, এই ব্যাথা কিছুক্ষণ হাত ও পায়ের ব্যায়াম করলেই চলে যাবার কথা৷ তবে মাঝে মাঝেই যদি এমন ব্যাথা হয়, তাহলে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই বাঞ্চনীয়৷ কারণ ব্যাথা মেরুদণ্ডের কারণেও হতে পারে৷
সিঁড়ি দিয়ে উঠতে কষ্ট হয় কেন?
সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠতে অনেকেরই খুব কষ্ট হয়৷ কিন্তু কেন? শারীরিকভাবে পুরোপুরি ‘ফিট’ না থাকা বা হার্টের অসুবিধা থাকলে এমনটা হতে পারে৷ তাই হার্ট বা হৃদপিণ্ডকে শক্ত রাখতে প্রতিদিনই সিঁড়ি ভাঙুন৷ ৪০০টি সিঁড়ি ডিঙিয়ে উপরে ওঠা কিন্তু ১৫ মিনিট পার্কে জগিং করার সমান৷