1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে এশীয়-প্রশান্তমহাসাগরীয় নগরগুলোতে

৭ এপ্রিল ২০১০

অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে এশীয়-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের নগর-বন্দরগুলোতে বসবাসকারী কোটি কোটি মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)৷

https://p.dw.com/p/Mowi
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ডব্লিউএইচও-এর এক কর্মকর্তাছবি: AP

৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ অঞ্চলের সরকারগুলোকে শহরাঞ্চলের নাগরিকদের, বিশেষত নগর-দরিদ্রদের রোগ-বালাই এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও৷

জাতিসংঘ সংস্থাটি জানায়, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫০ শতাংশ বা প্রায় ৮০ কোটি মানুষ নগরাঞ্চলে বসবাস করছে এবং আগামী দিনগুলোতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে৷

ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক শিন ইয়ুং-সু বলেন, ‘‘সঠিক নগর স্বাস্থ্য পরিকল্পনা, অবকাঠামো নির্মাণ এবং স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়নের চর্চায় মনযোগী না হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বেড়ে যেতে পারে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘ইতোমধ্যেই লাখ লাখ মানুষ নগরাঞ্চলের বস্তিগুলোতে এবং বস্তি-সদৃশ আবাসনে বসবাস করছে যেখানে অসুখ-বিসুখ একটা মারাত্মক ঝুঁকি৷’’

Feuer Brand Manila Paco Philippinen
দুর্যোগে বিপর্যস্ত ম্যানিলার দরিদ্র আবাসিক এলাকাছবি: AP

ফিলিপিন্সের রাজধানী অঞ্চল ‘মেট্রো ম্যানিলা’-কে একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই প্রতিবেদনে৷ সংস্থাটি জানায়, প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১৫,৫০০ মানুষের আবাস নিয়ে ‘মেট্রো ম্যানিলা’ বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা৷ সেখানে প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র নিয়ে বস্তি এলাকায় বসবাস করছে এবং আরও প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করছে৷

গত বছর ম্যানিলায় ৪০ বছরের মধ্যে সবচাইতে মারাত্মক বন্যায় প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা যায়৷ যাদের বেশিরভাগই নগরদরিদ্র জনগোষ্ঠীর৷ এছাড়া, এ বন্যার ফলে যেভাব নানা রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল তাতেও সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারাই৷

দক্ষিণ এশিয়ার বড় বড় শহর-নগরগুলোর বাসিন্দারাও একইরকম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই প্রতিবেদনে৷

প্রতিবেদক : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ