1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাঁচি, কাশি ঢাকতে হবে হাত নয়, কনুই দিয়ে

১৭ জুলাই ২০১০

হাঁচি বা কাশি তো কমবেশি আমাদের সবারই হয়৷ তাই বলে সবার সামনে তা করাটা ঠিক নয়৷ কারণ এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস৷ কিন্তু এমনটাই ঘটছে৷ বিষয়টি নিয়ে নিউজিল্যান্ডে একটি গবেষণা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/ONq3
এভাবে হাতের ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত নয়ছবি: AP

মেডিকেল শিক্ষার্থীরা গোপনে চালান এই গবেষণাটি৷ তারা দেখতে পান, প্রতি চারজনের একজন হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় তা ঢাকার চেষ্টা করেননা৷ ফলে সহজেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে৷ আর যারা ঢাকার চেষ্টা করেন, তারা হাত দিয়ে তা করেন৷ কিন্তু এটাও স্বাস্থ্যকর নয়৷ চিকিৎসকরা বলছেন, এর ফলে অন্য উপায়ে ভাইরাস ছড়াতে পারে৷ কারণ বেশিরভাগ লোকই হাত দিয়ে হাঁচি বা কাশি ঢাকার পর তা আর পরিষ্কার করেননা৷ পরে সেই অপরিষ্কার হাত দিয়েই বাসার দরজা খোলেন বা অন্য কিছু ধরেন৷ ফলে ঐসব জিনিসেও ভাইরাস চলে যায়৷ পরবর্তীতে অন্য কেউ ঐ জিনিসগুলো ধরলে তাদের মধ্যেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়৷ এরকম হাত দিয়ে হাঁচি ও কাশি ঢাকার সংখ্যা প্রতি তিনজনে দুইজন৷

তাহলে কী করা উচিত? ডাক্তাররা বলছেন, সবচেয়ে ভাল উপায় হলো কনুই ব্যবহার করা৷ কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ৭৭ জনের মাত্র একজন এই কাজটি করেন৷ দ্বিতীয় যে পদ্ধতিটির কথা ডাক্তাররা বলছেন সেটা হলো টিস্যু বা রুমালের ব্যবহার৷ কিন্তু সেটাও করেন কম সংখ্যক মানুষ৷ প্রতি ৩০ জনে একজন৷

নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের একটি রেল স্টেশন, একটি হাসপাতাল ও একটি শপিং সেন্টারে এই গবেষণাটি চালানো হয়৷ ওয়েলিংটনের ওতাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নিক উইলসন এই গবেষণা কাজের নেতৃত্ব দেন৷ তিনি এই গবেষণার ফলাফলে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ কারণ গবেষণাটি এমন এক সময়ে চালানো হয়েছিল যখন বিশ্বব্যাপী সোয়াইন ফ্লু নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল৷ সেসময় হাঁচি, কাশি দেয়ার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছিল৷ কিন্তু এর পরেও গবেষণায় এমন ফল আসায় রীতিমত উদ্বিগ্ন উইলসন৷

উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৭ সালে আরেকটি গবেষণায় জানা গিয়েছিল যে, প্রতি চারজনের একজন বাথরুম থেকে ফিরে হাত পরিষ্কার করেনা৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন