1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইতিতে শিশুপাচারকারী সন্দেহে ১০জন আটক, ত্রাণ অব্যাহত

১ ফেব্রুয়ারি ২০১০

হাইতি থেকে ৩৩টি শিশুকে নিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার সময় শিশুপাচারকারী সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের একটি খ্রিষ্টান সাহায্য সংস্থার ১০ সদস্যকে আটক করেছে দেশটির সরকার৷

https://p.dw.com/p/Loss
হাইতিতে ত্রাণের কাজে মার্কিন সেনা তৎপরতাছবি: AP

এ ঘটনাসহ ত্রাণ তৎপরতা সমন্বয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্যোগে হাইতি সরকারের উপস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে৷ ফলে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটির সরকার আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷

যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো ভিত্তিক খ্রিষ্টান সাহায্য সংস্থা ‘নিউ লাইফ চিলড্রেন্স চ্যারিটি'র কর্মকর্তারা ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া ৩৩টি শিশুকে নিয়ে একটি বাসে করে সীমান্ত পার হয়ে পার্শ্ববর্তী ডোমিনিকান রিপাবলিকে যাচ্ছিলেন৷ এসময় হাইতির পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীরা তাদের আটক করে৷ মার্কিন পাসপোর্টধারী সংস্থাটির দশ কর্মকর্তার সঙ্গে আটক করা হয়েছে তাদের সহযোগী দুই হাইতিয়ানকেও৷ হাইতির সংস্কৃতি ও যোগাযোগ মন্ত্রী মেরি লরেন্স জোকেলিন লেসেগ বলেছেন, ‘‘সীমান্ত পুলিশ অনেক শিশুসহ একটি বাস দেখতে পেয়ে তাদের থামায়৷ সেখানে ৩৩টি শিশু ছিল৷ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি৷'' রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্স-এ আটকাবস্থায় ওই মার্কিন সংস্থাটির প্রধান লরা সিল্সবি বলেছেন, শিশুদের পুনর্বাসনই ছিল তাদের একমাত্র লক্ষ্য৷ বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন,‘‘ আমরা কেবল শিশুদের সহায়তা করতেই এখানে এসেছি৷ আমাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না৷ ভূমিকম্পে যারা বাবা-মা হারিয়েছে এবং যারা পরিত্যক্ত হয়েছে এমন শিশুদের আমরা সহায়তা করতে চেয়েছিলাম৷''

উদ্ধার করা এসব শিশুদের মধ্যে ২ মাস বয়সি শিশু থেকে শুরু করে ১৪ বছর বয়সি শিশুও রয়েছে৷ এখন যে সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্রে এসব শিশুকে রাখা হয়েছে তার কর্মকর্তা প্যট্রিসিয়া ভার্গাস জানান, এদের অনেকেরই বাবা-মা বা পরিবার রয়েছে৷ অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের কয়েকটি শিশু তাদের ফোন নম্বর এবং বাড়ির ঠিকানা দিয়েছে বলেও জানান তিনি৷

পোর্ট অফ প্রিন্সে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে ‘‘হাইতির অভিবাসন সংক্রান্ত আইন অমান্য করার অভিযোগে'' ওই গ্রুপটির কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছে৷ এর বেশি কিছু মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তারা৷

ওদিকে, ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে আহতদের জরুরি ও উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে সোমবার থেকে বিশেষ বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করছে মার্কিন সেনাবাহিনী৷ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টমি ভিয়েতোর জানান, ‘‘জরুরি চাহিদা পূরণ এবং জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে হাইতির সরকার এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে এই কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছি আমরা৷''

প্রায় ২০ লাখ মানুষকে জরুরি খাদ্য সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্সের ১৭টি স্থানে খাদ্য বিতরণ শুরু করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি৷ হাইতির পুলিশ, মার্কিন সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এই কর্মসূচি তদারক করছেন৷ জাতিসংঘের জরুরি মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের সমন্বয়কারী জন হোমস সোমবার বলেছেন, হাইতিতে এখনকার ত্রাণ তৎপরতা ২০০৪ সালে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সুনামির চেয়ে সময়ের চেয়ে ভাল হচ্ছে৷

১২ জানুয়ারির ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে হাইতিতে প্রায় ২ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২ লাখ এবং গৃহহীন হয়ে পড়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ৷

প্রতিবেদক : মুনীর উদ্দিন আহমেদ, সম্পাদনা :সঞ্জীব বর্মন