1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাইস্পিড এক্স-রে দিয়ে পরীক্ষা

২৫ জুলাই ২০১৬

সৃষ্টির সূচনা থেকেই প্রাণীরা শরীরের হাড় ও পেশি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলেছে৷ কিন্তু তাদের সেই মুভমেন্টের অনেক বিষয় আজও অজানা রয়েছে৷ জার্মানির এক গবেষক অত্যাধুনিক এক্স-রে যন্ত্র কাজে লাগিয়ে সেই রহস্য উন্মোচন করছেন৷

https://p.dw.com/p/1JVGJ
Yakka Skink
ইয়াক্কা স্কিংকছবি: Mackay Conservation Group

অধ্যাপক মার্টিন ফিশার শরীরের মুভমেন্ট নিয়েই মেতে আছেন৷ তিনি একাধারে প্রাণিবাজ্ঞানী, এবং জীবনশক্তিতে ভরপূর এক ভবিষ্যতদর্শী মানুষ৷ তিনি মানুষ ও প্রাণীর শরীরের গঠন নিয়ে কাজ করেন৷ কোটি কোটি বছর ধরে শরীরের বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি৷ তবে মৃত প্রাণীর শরীর পরীক্ষা করে তাঁর মন ভরেনি৷ তিনি জীবন্ত প্রাণীর ত্বকের নীচে উঁকি মেরে তাদের এগিয়ে চলার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন৷ তখন তাঁর মাথায় এক অদ্ভুত আইডিয়া এলো৷

অধ্যাপক ফিশার বলেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক জীবনে আমি প্রথমে অ্যানাটমিস্ট হিসেবে কাজ করেছি, অনেক প্রাণীর শরীর ডিসেক্ট বা ব্যবচ্ছেদ করেছি৷ একসময় ইচ্ছা হলো, পেশি ও হাড় সক্রিয় অবস্থায় দেখি, তাদের কাজ বোঝার চেষ্টা করি৷ এর জন্য হাইস্পিড এক্স-রে যন্ত্রের মতো বিস্ময়কর উপকরণের প্রয়োজন৷''

আজ ‘স্কিংক' গিরগিটির পালা৷ গবেষকরা এই প্রাণীর মাধ্যমে ডাইনোসরদের এগিয়ে চলার প্রক্রিয়া বুঝতে চান৷ কারণ ছোট্ট এই প্রাণীর শারীরিক গঠনের সঙ্গে প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসরদের অনেক মিল রয়েছে৷ বিশ্বের দ্রুততম এক্স-রে যন্ত্র গবেষকদের হাতে এ বিষয়ে নতুন তথ্য তুলে দিচ্ছে৷

একটি ট্রেডমিলের উপর স্কিংক চলতে থাকে৷ সেকেন্ডে তার ২,০০০ এক্স-রে ছবি তোলা হচ্ছে৷ এই প্রথম তার এগিয়ে চলার অজানা ধাপগুলিও স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ অধ্যাপক মার্টিন ফিশার বলেন, ‘‘আমাদের কাছে প্রায় ৩০ কোটি বছরের পুরানো জীবাশ্ম রয়েছে৷ তবে তাতে শুধু হাড়গোড় অবশিষ্ট রয়েছে৷ প্রাচীন এই প্রাণী কীভাবে নড়াচড়া করত, আমরা তা জানতে চাই৷ তার জন্য জীবন্ত প্রাণী পরীক্ষা করতে হয়, তাদের মুভমেন্ট-এর এক্স-রে ছবি তুলতে হয়৷ অর্থাৎ মুভমেন্ট-এর বিবর্তন বোঝাই আমার গবেষণার উদ্দেশ্য৷''

গবেষকরা একাধিক প্রজাতির প্রাণীর এক্স-রে ছবি তুলেছেন৷ ইঁদুর, বানর, বিড়াল, ইগুয়ানা, ও গিরগিটি৷ প্রতিটি ছবি প্রাণিবিদদের সামনে অজানা প্রান্তর খুলে দিয়েছে৷ অধ্যাপক ফিশার বলেন, ‘‘আমার এক্স-রে ছবি দেখলে অদ্ভুত অনুভূতি হয়৷ সেটা সত্যি একটা আবিষ্কার৷ এ যেন অজানা দ্বীপে পা রাখার মতো৷ এই প্রথম আমি এক প্রাণীর ভিতরে উঁকি মারতে পারছি, যে সুযোগ এতকাল কারো ছিল না৷ এতে গভীর সন্তুষ্টি আসে, দারুণ অনুভূতি৷''

ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে মার্টিন ফিশার-এর বিশাল কদর৷ গবেষক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার কাহিনি তুলে ধরে তিনি শরীর ও মনের বিবর্তনের কথা শোনান৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য