1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাঙর শিকার

২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩

সমুদ্রের তলদেশে প্রবালের গা থেকে নিঃসৃত ক্যালসিয়াম কার্বোনেট দিয়ে গঠিত হয় কোরাল রিফ বা প্রবাল শৈল৷ সেই শীলার জীবন অনেকটাই নির্ভর করে হাঙরের উপর৷ সম্প্রতি এমন কথাই বললেন অস্ট্রেলিয়া ও ক্যানাডার বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/19klC
ছবি: cc-by-sa-3.0/Richard Ling

অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্সের বিজ্ঞানী মার্ক মিকানের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও ক্যানাডার বিজ্ঞানীদের একটি দল প্রবাল শৈল নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন৷ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত প্রবালগুলো নিয়ে ১০ বছর ধরে পরীক্ষা করেছেন তাঁরা৷

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টার করপোরেশন এবিসি-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিকান জানান, দীর্ঘদিনের এ গবেষণা থেকে তাঁরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, যেসব অঞ্চলে বেশি হাঙর শিকার করা হয় সেসব জায়গায় প্রবাল শৈলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে৷

মিকান বললেন, এই সব শৈলের শাখা-প্রশাখার ফাঁকে আশ্রয় নেয় সামুদ্রিক প্রাণীরা৷ সেসব সামুদ্রিক মাছগুলো হাঙরের খাদ্য৷ আর ঐ মাছদের খাদ্য হলো এই প্রবাল৷

Hammerhai
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেসব অঞ্চলে বেশি হাঙর শিকার করা হয় সেসব জায়গায় প্রবাল শৈলের পরিমাণ কমে যাচ্ছেছবি: imago/imagebroker

হাঙরের সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যবর্তী প্রাণীটি, অর্থাৎ শিকারি মাছ যেমন স্ন্যাপারের সংখ্যা এসব অঞ্চলে অনেক বেড়ে গেছে৷ তাই তাদের খাদ্য শৈবাল বা প্রবালের পরিমাণ দ্রুত কমে যাচ্ছে৷ শৈবালগুলো প্রবালের ঝরে পড়া কোষের স্থান থেকে সৃষ্ট হয়৷ মাছ খাওয়ার ফলে ঐ শাখা প্রশাখাগুলো বেড়ে উঠতে পারছে না৷ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এদের সংখ্যা৷

মিকানের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে জলজ প্রাণীরা এমনই হুমকির মুখে রয়েছে৷ তাই হাঙর শিকার না কমালে খাদ্য শৃঙ্খলে বিপর্যয় দেখা দেবে৷ একেবারে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে প্রবাল শৈল৷

মিকান বললেন, প্রবাল শৈলকে বাড়তে দেয়ার জন্য হাঙরের প্রয়োজন, যারা তাদের ত্রাতা হিসেবে কাজ করবে৷ এ কারণেই হাঙর শিকার বন্ধ করা উচিত৷ কেবল প্রবালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যই নয়, সমুদ্র তলদেশের খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষার জন্যও এটা ভীষণ জরুরি৷

এপিবি/ডিজি (ডিপিএ/এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য