1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান ফ্যানরা ব্রাজিলমুখো

২৫ মে ২০১৪

দেশ বেড়ানো আর ফুটবল হলো জার্মানদের সবচেয়ে প্রিয় দু’টি অবসর বিনোদনের পন্থা৷ আবার সে দু’টো যদি একসঙ্গে পাওয়া যায়, তাহলে তো কথাই নেই৷ কাজেই ৫০ হাজার জার্মান ইতিমধ্যেই ব্রাজিলে যাবার টিকিট কিনে ফেলেছেন৷

https://p.dw.com/p/1C6AE
UEFA EURO 2012 Dänemark Deutschland
জার্মানরা ফুটবল পাগল (ফাইল ফটো)ছবি: dapd

জার্মানি থেকে ব্রাজিলে গিয়ে হোটেলে থাকা, একটা খেলার শহর থেকে আরেকটা শহরে যাওয়া, এ সবের খরচ কিন্তু জার্মানদের পক্ষেও কম নয়: মাথাপিছু দশ হাজার ইউরো, যা কিনা আজ জার্মানিতে একটা ছোটখাটো নতুন গাড়ির দাম৷ তবুও বিশ্বকাপ যাত্রার প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে লোন নিতেও অনেকে দ্বিধা করেননি৷

জার্মানির নাকি এবার চতুর্থবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবার ভালো সম্ভাবনা আছে, বলে ফ্যানদের ধারণা৷ কাজেই ব্রাজিলে গিয়ে জার্মান দলকে চ্যাম্পিয়ন হবার মতো সাপোর্ট দিয়ে ফ্যানরা যখন খোশমেজাজে বাড়ি ফিরবেন, তখন নাকি তাঁদের ‘প্রোডাক্টিভিটি' মানে উৎপাদনক্ষমতাই বেড়ে যাবে৷ অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হবার স্বপ্ন যদি সত্যি না হয়, তাহলে যে উৎপাদনক্ষমতার কি হবে, তা নিয়ে জার্মান ফ্যানরা আপাতত মাথা ঘামাচ্ছেন না৷

এক বছর আগে তারা যখন এই ব্রাজিল যাত্রার – নাকি অভিযানের? – পরিকল্পনা করতে শুরু করেন, তখনও কেউ বিগত তিনটি বিশ্বকাপে জার্মানির ফলাফলের কথাটা ভেবে দেখেননি: ২০০২ সালে জার্মানি হারে ফাইনালে, ২০০৬ আর ২০১০ সালে সেমিফাইনালে৷ আর পাঁচ সপ্তাহের ছুটি কাটানোর জন্য – মাথাপিছু – দশ হাজার ইউরো খরচ করাটা বাহুল্য বলে মনে হতে পারে, কিন্তু যেদেশে মানুষ বছরে গড়ে ৩৪ হাজার ইউরো রোজগার করে, সেদেশে সেটা হাতের ময়লা কিংবা ‘পি-নাটস' না হলেও, তা-তে কারো দমার কথা নয়৷ বিশ্বকাপ তো আসেও প্রতি চার বছরে একবার৷

সারা বছরের উপার্জনের এক-তৃতীয়াংশ থেকে এক-চতুর্থাংশ বিশ্বকাপের পিছনে খরচ করা: এখন যদি জার্মানি – ঈশ্বর না করুন! – ফাইনালের আগেই কোনো স্টেজে আউট হয়ে যায়, তাহলে কি হবে? কোনো ক্ষতি হবে না, কেননা তাহলে জার্মান ফ্যানরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ফ্যানদের সঙ্গে মিলে ‘পার্টি' চালিয়ে যাবেন৷ বুঝলেন না? বিশ্বকাপ হল ফুটবলের মহোৎসব, মানে যাকে বলে কিনা মোচ্ছব৷ তা-তেই যদি ফুর্তি না করা যায়, তাহলে ফুর্তি করা যাবে ক্যামনে?

কাজেই ইউরোপের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে জার্মানি থেকেই সবচেয়ে বেশি ফ্যান ব্রাজিলে পাড়ি জমাচ্ছেন৷ জার্মানির সঙ্গে গ্রুপ ‘জি'-তে রয়েছে পর্তুগাল, ঘানা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ ম্যাচগুলো হবে সালভাদোর, ফর্তালেজা ও রেসিফে-তে৷ ফ্যানদের কাছে গ্রুপ পর্যায়ের সব ক'টি ম্যাচের টিকিট থাকবে, বলে সাধারণত ধরে নেওয়া যায়৷ তবে জার্মানি গ্রুপে প্রথম না হয়ে যদি দ্বিতীয় হয়, তাহলে ফ্লাইট আর বুকিং কিছুটা এদিক-ওদিক করতে হবে৷

তার মুশকিল হলো এই যে, নকআউট পর্যায়ে স্টেডিয়ামে গিয়ে টিকিট পাবার আশা করছেন জার্মান ফ্যানরা৷ কিন্তু খেলা ঘাড়ে এসে পড়লে টিকিটের দাম হবে আকাশছোঁয়া – এককালে যাকে টিকিট ব্ল্যাক করা বলা হতো৷ কিন্তু ফ্যান কিংবা ব্ল্যাকার, উভয় পক্ষই জানে, সুদূর জার্মানি থেকে ব্রাজিলে এসে এই ফ্যানরা খেলা না দেখে বাড়ি ফিরবেন না৷

কাজেই: দ্য স্কাই ইজ দ্য লিমিট৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য