1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ

জেনিফার ফ্রাচেক/আরবি১৩ জুলাই ২০১৩

হাম হলে দেখা যায় বাদামি ও গোলাপি রং-এর ফুসকুড়ি৷ তার ওপর প্রচণ্ড জ্বর, সর্দি-কাশিও হয়৷ সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো হামের ভাইরাস, যা শরীরের প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল করে দেয়৷ তাই আক্রান্তরা সহজেই অন্য অসুখের কবলেও পড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/1972N
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানিতে হাম নির্মূল হয়নি

অ্যামেরিকায় হাম নির্মূল হয়ে গেলেও জার্মানিতে এখনও রয়ে গেছে অসুখটি৷ জার্মানিতে বছরে গড়ে ১২২ থেকে ২৩০৮-এর মতো মানুষ আক্রান্ত হন হামে৷ কয়েক জন মারাও যান৷

এখন বার্লিন ও বাভারিয়ায় হামের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে৷ জার্মান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ৯০০ জনেরও বেশি হামে আক্রান্ত হয়েছেন৷

এখানে প্রশ্ন জাগতে পারে হাম প্রতিরোধে টিকার ব্যবস্থা থাকলেও এত মানুষ কী ভাবে রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছে? দেখা গেছে সবাই এই টিকা নিচ্ছে না৷ বিশেষ করে ৯০-এর দশকে টিকা নেওয়ার হারটা কম ছিল৷ তাই আজকের ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সিদের হামে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি৷

চিকিত্সকদের মতে দু'বার এই টিকা নেওয়া উচিত৷ একবার জন্মের পর ১১ থেকে ১৪ মাসের মধ্যে৷ আর দ্বিতীয়বার প্রথম টিকার নেওয়ার চার সপ্তাহ পর৷ দ্বিতীয় টিকাটি নিলে হামকে প্রায় পুরোপুরি প্রতিরোধ করা যায়৷

Annette Mankertz Robert-Koch-Institut
রোব্যার্ট কখ ইন্সটিটিউট-এর আনেটে মানকার্ৎসছবি: Robert-Koch-Institut

টিকাকে বাধ্যতামূলক করার চিন্তাভাবনা

ভবিষ্যতে হামের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে টিকাকে বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডানিয়েল বার৷ বসন্ত রোগের ব্যাপারে এই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল একবার৷

অ্যামেরিকায় স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় বাচ্চারা দু'বার হাম, মাম্পস ও রুবেলা প্রতিরোধী, এমএমআর টিকা নিয়েছে কিনা – তা দেখা হয়৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলিতে স্বেচ্ছায় টিকা নিতে প্রণোদিত করা হয়৷ দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেন৷ ফেডারেল অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য পেডিয়েট্রিয়ান বা কেন্দ্রীয় শিশু চিকিত্সক অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রধান ভলফ্রাম হার্টমান অবশ্য বাধ্যতামূলক টিকা দানের ব্যাপারে তাঁর মত ব্যক্ত করেছেন৷

বর্তমানে যে ভাবে হামের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে, তাতে মা-বাবার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে থাকা যায় না৷ এক্ষেত্রে আইন-কানুনও রয়েছে৷ অত্যন্ত বিপজ্জনক ভাইরাসের বেলায় বাচ্চাদের বাধ্যতামূলক টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে রাষ্ট্র ৷

ভিন্নমত অনেকের

অন্যদিকে ‘অলটারনেটিভ প্র্যাকটিশনার' মিশাইল ফ্রিডল মনে করেন, টিকা নেওয়ার ব্যাপারে জোর করা ঠিক নয়৷ এছাড়া শৈশবে টিকা দেওয়াটা সবসময় নিরাপদও নয়৷ তাঁর মতে বাচ্চাকালে প্রচণ্ড জ্বর হলে শরীরে একটা প্রতিক্রিয়াও হয়৷ প্রথমত, এই ধরনের অসুখ হলে শিশুর নিজের শরীর সম্পর্কে একটা অভিজ্ঞতা হয় ৷ দ্বিতীয়ত, এর ফলে ইমিউন সিস্টেমও শক্তিশালী হয়৷ সাত বছর পর্যন্ত বাচ্চারা জ্বরকে সহজেই সামলাতে পারে৷ ‘‘বয়স্করা যেসব রোগে হিমশিম খেয়ে যান, সঠিক চিকিত্সা হলে সে সব অসুখ বিসুখ সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারে বাচ্চারা৷ এর মধ্যে হামও রয়েছে'', বলেন ফ্রিডল৷

Daniel Bahr Bundesgesundheitsminister
জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডানিয়েল বারছবি: Getty Images

তবে রবার্ট কখ ইন্সটিটিউটের আনেটে মানকের্টৎস মনে করেন, শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে হলে হামের প্রয়োজন নেই৷ আসল কথা হলো টিকা হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে৷ টিকা নিলে শুধু নিজে নয় অন্যদেরও সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানো যায়৷

টিকায় কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে

‘‘টিকায় কিছুটা ঝুঁকিও থাকে৷ যেমন মস্তিষ্কের সংক্রমণ হতে পারে এতে'', বলেন আনেটে মানকের্টৎস৷ অবশ্য এমনটি হতে পারে ১০ লাখে একটি৷ তার মানে হাম হলে যে ঝুঁকি হয়, তার চেয়ে হাজার গুণ কম৷ হাম অত্যন্ত সংক্রামক এক ব্যাধি৷ হাঁচি, কাশি বা কথা বলার সময় এই রোগ সংক্রমিত হয়৷ এই ভাইরাস অনেক ঘণ্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে৷ বিশেষ করে এক বছরের কম বয়সি শিশুদের বেলায় এই রোগ অত্যন্ত মারাত্মক৷ ‘‘এই বয়সি শিশুদের হাম হলে প্রতি পাঁচ হাজারে একজন মস্তিষ্কের এক ধরনের কঠিন অসুখে আক্রান্ত হয়৷ যার ফলে মৃত্যু অবধারিত'', বলেন আনেটে মানকের্টৎস৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য