হায়, এ কোন ব্রাজিলকে দেখলাম! | পাঠক ভাবনা | DW | 09.07.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

হায়, এ কোন ব্রাজিলকে দেখলাম!

‘‘ব্রাজিলকে নিয়ে আমাদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল৷ সেই সাথে অকালমৃত্যু ঘটলো ‘জোগো বনিতো’ মানে সুন্দর ফুটবলের৷ হায়, এ কোন ব্রাজিলকে দেখলাম! ’’ ঠিক এভাবেই পাঠক বন্ধু সুভাষ তাঁর ই-মেলে লিখেছেন৷

তিনি দুঃখ করে আরো লিখেছেন, ‘‘জোগো বোনিতোর মৃত্যুঘণ্টা অনেক আগেই বেজে গিয়েছিল, তারই পরিসমাপ্তি হলো গতকালের এই চরম লজ্জাকর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে৷ এখন একটাই প্রশ্ন - ব্রাজিল কি পারবে ‘জোগো বোনিতোর' চিতাভস্ম হাতে নিয়ে প্রতিজ্ঞা করে ব্রাজিলের স্বর্ণযুগের সেই ‘সুন্দর ফুটবলের' দিন ফিরিয়ে আনতে? ব্রাজিলের এই পরাজয় কেবলমাত্র ব্রাজিলেরই নয়, সুন্দর ফুটবলেরও অনেক ক্ষতি হয়ে গেল৷ আশাহত, মর্মাহত মন নিয়ে গভীর দুঃখের সাথে এই লেখাটি ডয়চে ভেলের উদ্দ্যেশ্যে লিখে পাঠিয়ে দিলাম৷'' জার্মান দলের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর ই-মেল শেষ করেছেন নতুন দিল্লি, ভারত থেকে পাঠক সুভাষ চক্রবর্তী৷

‘টপ গেম কুইজ'

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও ছিলো আমাদের ‘টপ গেম কুইজ' প্রতিযোগিতা৷ এবারের বিজয়ী মিতু বিশ্বাস৷ মিতু আপনাকে আমাদের অভিনন্দন! অনুগ্রহ করে আপনার পোস্টাল অ্যাড্রেসটি পাঠিয়ে দেবেন, কেমন? তাহলেই সময়মতো পৌঁছে যাবে আপনার পুরস্কার৷ প্রতিযোগিতায় যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ৷

জার্মানি ৭-১ গোলে জয়লাভ করায় জার্মান দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং খুবই আনন্দিত বলে লিখেছেন পাঠক বন্ধু মো: হায়দারুল ইসলাম, উথালী বাজার, চুয়াডাঙ্গা থেকে৷

মো. জাহাঙ্গীর আলম মান্টু ,কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি থেকে লিখেছেন, ‘‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত আজকের সেমিফাইনাল দেখে৷ ৭-১ এর বিশাল জয় পেয়েছে জার্মানি৷ বিশেষত ক্লোজের বিশ্ব রেকর্ডটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ৷ আমার আগের মেইলটিতে ক্লোজের জন্য শুভকামনা জানিয়েছিলাম৷ এবারের বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকেই আমি এই স্বপ্নটাই বার বার দেখেছি৷ আমার স্বপ্নটাই সত্য হলো, এতে আমি কেন, গোটা বিশ্বের জার্মান ভক্তরাই আজ আনন্দিত৷ জার্মানি ফাইনাল খেলছে৷ আজকের স্পিরিটে ফাইনাল খেলতে পারলে জার্মানি নির্ঘাত চ্যাম্পিয়ন হবে, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে আবারও আপনাদের অভিনন্দন জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি৷''

পরের ই-মেল ক্রিকেট সম্পর্কে

ঢাকা থেকে শফিকুল ইসলাম জীবন তাঁর দীর্ঘ ই-মেলে লিখেছেন, ‘‘সাকিব তুমি আপিল করো না! নিজেকে ছোট করার আর দরকার নেই৷ আমার ধারণা তোমাকে ক্রিকেট থেকে সরিয়ে দিতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে৷ এই ষড়যন্ত্রের ডালপালা বহু দূর৷ তাই আপিল করে তুমি সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না৷ বাংলাদেশের একটি ছেলে অলরাউন্ডার হবে, এটা এই দেশের নীতি নির্ধারকদের অনেকেরই, খোঁজ নিয়ে দেখো, রাতে হিংসায় ঘুম হয় না৷ ড. ইউনুস স্বয়ং এসব হিংসুটেদের চক্ষুশূল৷ তুমি কিছু অপরাধ করেছ, এটা সত্য৷ এর জন্য দোষটা সরাসরি তোমার না৷ তামাম বিশ্ব জেনেছে এই সময়ের অলরাউন্ডার বেয়াদবি আর বেসামাল আচরণেও সেরা৷ কিন্তু তোমার চেয়ে তোমার প্রভুরা ঢের বেশি দোষ করেছে৷''

জীবন আরো লিখেছেন, ‘‘এদেশের রাষ্ট্রনেতাদের বিবেক না থাকলেও বিদেশিদের আছে৷ তারা এটাও মূল্যায়ন করছে যে একটি রাষ্ট্র, একটি ক্রিকেট বোর্ড কতটা অদক্ষ আর আনকালচার্ড হলে একটি জাতীয় দলে বিশৃংখলা বাসা বাঁধে৷ একটা জতীয় দলে সৃজনশীল, শিক্ষিত লোকজন এবং একটি বলিষ্ঠ নীতিমালার অভাব কতটা প্রকট হলে তার ঢেউ সারা বিশ্বের আনাচে কানাচে পড়ে৷ তোমার শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায় তোমার না৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

নির্বাচিত প্রতিবেদন