1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেনা হত্যা মামলার আদালতে শুনানি

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ফতোয়াবাজদের দোররায় নিহত হেনা আক্তারের দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আজ হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে৷ আদালত দু’টি রিপোর্ট পর্যালোচনা ও প্রথম দফা ময়না তদন্তকারীদের ব্যাপারে তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/10F7f
প্রতিকী ছবিছবি: AP

আর তদন্ত করতে বলেছেন সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে৷ আদালতে উপস্থিত হেনার বাবা দরবেশ খাঁ জানিয়েছেন ফতোয়াবাজরা তাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় আপোষের প্রস্তাব দিয়েছিল৷

হেনা আক্তারের বাবা দরবেশ খাঁ আদালতকে জানান, হেনা নিহত হওয়ার পর লাশ শরিয়তপুরের নড়িয়া থানায় পড়ে ছিল৷ এরপর ষড়যন্ত্র করে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসামিদের পক্ষে দেয়া হয়৷ তিনি আদালতে ফতোয়া এবং দোররা মারা ঘটনাও বর্ণনা করেন৷ তিনি জানান, ফতোয়াবাজরা তাকে সাড়ে ৩লাখ টাকার বিনিময়ে তার মেয়ের হত্যাকান্ডের বিষয়টি আপোষের প্রস্তাব দিয়েছিল৷ কিন্তু তিনি আপোষ করেননি৷

আদালত প্রথম এবং দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত রিপোর্ট পড়ে শোনানো হয়৷ প্রথম দফা ময়না তদন্তে হেনার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ আর দ্বিতীয় ময়না তদন্ত রিপোর্টে তার শরীরে আঘাত এবং ক্ষত চিহ্নের কথা বলা হয়েছে৷ আদালত এতে বিষ্ময় প্রকাশ করেন৷ আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন৷ প্রথম ময়না তদন্তকারী ৩ ডাক্তারের ব্যাপারেও তদন্ত হবে৷ ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে কি ব্যবস্থা নেয়া হল তা আদালতকে জানাতে হবে৷ আর ফতোয়ার সঙ্গে যুক্ত সবার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ যা জানান, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম৷

আজ হাইকোর্টে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং বিচারপতি জাকির হোসেনের আদালতে হাজিরার পর আদালতের বাইরে গেলে হেনাকে দোররা মারার মূল হোতা সালিশকারী ইউপি সদস্য ইদ্রিস শেখকে গ্রেফতার করা হয়৷ আদালত হেনা হত্যার ঘটনায় মামলার এজাহার গ্রহণকারী পুলিশ নড়িয়া থানার পুলিশ কর্মকর্তা মীর্জা একে আজাদ এবং সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারী আসলামউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে৷

এদিকে এই দোররা মেরে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মাহবুব খানকে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে৷ গত ৩১শে জানুয়ারি হেনাকে তার নিজ গ্রাম, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার চামটা গ্রামে দোররা মেরে হত্যা করা হয়৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান