1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেলমান্দে তালেবান বিরোধী প্রচন্ড অভিযান

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০

বারাক ওবামার সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণার পর প্রথমবারের মত শনিবার আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ঘাঁটি বলে পরিচিত হেলমান্দ প্রদেশের মারজাহ শহরে প্রচন্ড অভিযান শুরু করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী৷

https://p.dw.com/p/M0MO
চলছে অভিযানছবি: AP

গত ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে ৩০ হাজার সেনা বৃদ্ধির ঘোষণা দেন বারাক ওবামা৷ ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে এই অভিযানে যুক্ত হয়েছে আফগানিস্তানের সেনা এবং পুলিশ বাহিনী৷ ন্যাটো বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মার্ক গ্রিনলিফ জানিয়েছেন, সেনারা অভিযান শুরু করেছে৷ স্থানীয়দের নিরাপত্তা ঠিক রেখে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে৷ এটি হচ্ছে একটি কঠোর এবং কঠিন অভিযান৷

স্থলে এবং অন্তরীক্ষে চলছে এই অভিযান৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে চালানো হচ্ছে আক্রমণ৷ চালানো হচ্ছে সম্ভাব্য তালেবান ঘাঁটির উপর বোমা হামলা৷ পরিকল্পনা মোতাবেক পদাতিক বাহিনীও এগিয়ে যাচ্ছে৷ শহরের কেন্দ্রস্থলে বিমান হামলা করে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে কথিত এক তালেবান শিবির৷

US-Soldaten in der Nähe von Kandahar
ছবি: AP

আন্তর্জাতিক বাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয় জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, দয়া করে কোন তালেবানকে আশ্রয় দেবেন না৷ তবে বেসামরিক সাধারণ মানুষের যেন কোন ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে প্রচন্ড সাবধানতা অবলম্বন করেই পরিচালিত হচ্ছে এই অভিযান, দাবি সেনা সূত্রগুলোর৷ জনসাধারণকে বাড়ি থেকে বের না হতেই পরামর্শ দিয়েছেন তারা৷ অবশ্য এই আহ্বানকে উপেক্ষা করে প্রাণভয়ে ইতিমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়েছেন অনেক অধিবাসী ৷ এই শহরে প্রায় এক লাখ মানুষের বাস৷

সাড়ে চার হাজার মেরিন সেনা, ৫০০ ইউএস আর্মি এবং ১৫০০আফগান সেনা এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে৷ এই অপারেশনের নাম দেয়া হয়েছে মুস্তারাক, বাংলায় ঐক্যবদ্ধ৷

এই মারজাহ শহরেই রয়েছে মার্কিন অর্থ সহায়তায় অন্যতম বড় উন্নয়ন প্রকল্প৷ শহরের আশেপাশের পাহাড়ি এলাকাতেই উৎপাদিত হয় মাদকের কাঁচামাল পপি৷ আর এই চাষাবাদের সঙ্গে তালেবান গোষ্ঠী জড়িত বলেই প্রমাণ রয়েছে৷

স্থানীয় তালেবান কমান্ডার কাজী ফজলুদ্দিন বার্তা সংস্থা রয়টার্স কে জানিয়েছেন, আমাদের দুই হাজার তালেবান সেনা এই যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়