1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প টিমে অরাজকতা

১ আগস্ট ২০১৭

হোয়াইট হাউসে নতুন ‘চিফ অফ স্টাফ' নিয়োগ করে ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধানকে বরখাস্ত করে নিজের টিমে ব্যাপক রদবদল করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ দেশে-বিদেশে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে জেরবার হচ্ছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2hTd5
জেনারেল জন কেলি ও ট্রাম্প
ছবি: Reuters/J. Roberts

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের ঘর সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন৷ হোয়াইট হাউসে কোন্দল, কেলেঙ্কারি ও অরাজকতার ফলে বার বার চাপের মুখে পড়ছেন তিনি৷ ভেতরের সেই সব খবর ফাঁস হয়ে যাচ্ছে, অপদস্থ হতে হচ্ছে প্রেসিডেন্টকে৷ তাঁর নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালন করতে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে হোয়াইট হাউস৷ ‘ওবামাকেয়ার' বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়ন করতে গিয়ে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প৷নিজের টিমে রদবদল করেও শান্তি আসছে না৷

এবার ‘চিফ অফ স্টাফ' পদে জেনারেল জন কেলিকে এনে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা চালালেন ট্রাম্প৷ তাঁর সেই দায়িত্ব সহজ করতে সদ্য নিযুক্ত যোগাযোগ বিভাগের প্রধানকে বরখাস্তও করলেন তিনি৷ কিন্তু সমালোচকদের ধারণা, ট্রাম্প যতদিন না নিজের আচরণ বদলাবেন, ততদিন এই অরাজকতা বন্ধ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে না৷

১০ দিন আগে ওয়াল স্ট্রিটের ব্যাংকিং জগত থেকে অ্যান্টনি স্কারামুচি-কে হোয়াইট হাউসে নিয়ে এসে তাঁকে যোগাযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করার পর পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে৷ একদিকে ট্রাম্প-এর জয়গান, অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের বিভিন্ন কর্মকর্তা সম্পর্কে প্রকাশ্যে কটু, প্ররোচনামূলক ও অশ্লীল মন্তব্য করে ‘মুচ' নামে পরিচিত যোগাযোগ বিভাগের প্রধান উলটে আরও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন৷ ‘চিফ অফ স্টাফ' রেন্স প্রিবাসও তাঁর শ্লেষের শিকার হয়েছিলেন৷

প্রথমে প্রিবাস, তারপর স্কারামুচিকে বরখাস্ত করে নতুন সূচনা করতে চাইছেন ট্রাম্প৷ নতুন ‘চিফ অফ স্টাফ' জেনারেল জন কেলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন, এমনটাই তাঁর আশা৷ তবে প্রথা অনুযায়ী হোয়াইট হাউসের সব কর্মী ও কর্মকর্তা ‘চিফ অফ স্টাফ' হিসেবে জেনারেল কেলির সরাসরি নিয়ন্ত্রণ মেনে নেবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷

এই রদবদলের পর ট্রাম্প টুইট করে মন্তব্য করেন, যে হোয়াইট হাউসের জন্য এটা বড় ভালো দিন৷

তিনি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ে সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জেনারেল কেলির কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ হোয়াইট হাউসেও তিনি অসাধারণ কাজ করবেন বলে পূর্ববাণী করেন ট্রাম্প৷

‘ওবামাকেয়ার' বাতিল, কর ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের মতো অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সামলাতে হোয়াইট হাউসকে আরও তৎপর হতে হবে৷ এই অবস্থায় এমন রদবদল সেই প্রত্যাশিত ফল নিয়ে আসে কিনা, সেদিকে নজর রাখবেন পর্যবেক্ষকরা৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য