1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হ্যানোভারে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক প্রদর্শনী ‘সেবিট’ শুরু

২ মার্চ ২০১০

জার্মানির হ্যানোভার শহরে মঙ্গলবার থেকে শুরু হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রদর্শনী ‘সেবিট’৷ সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন৷

https://p.dw.com/p/MHIm
‘সেবিট’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: CeBIT

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী হোসে লুই রড্রিগেস সাপাটেরো৷

প্রতি বছর জার্মানির হানোভারে অনুষ্ঠিত হয় তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রদর্শনী ‘সেবিট'৷ এবারের ‘সেবিটে'র অংশীদার হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতি দেশ স্পেনকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ এই মেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বড় বড় কোম্পানির কাছে কম্পিউটার সফটওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তি পণ্য তুলে ধরা৷ তবে ব্যক্তিগত কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং নতুন নেটবুকও ‘সেবিট' এর অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়৷

পাঁচদিন ব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ম্যার্কেল তাঁর বক্তৃতায় দাবি করেন যে, উচ্চ প্রযুক্তিকে জার্মান শিল্পের নিশান করে তুলতে হবে৷ ‘‘জার্মান সরকার এজন্য একটি নতুন নীতি পেশ করবেন যা এই গ্রীষ্মেই দেখাবে তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রগতিকে গাড়ি নির্মাণ শিল্প কিংবা রাসায়নিক শিল্পের মতো আমাদের প্রথাগত শিল্প শাখাগুলোর সঙ্গে কিভাবে মেলানো যায়,'' বলেন ম্যার্কেল৷

CeBIT 2010 Highlight Tour Flashgalerie
‘সেবিট ২০১০’ এর হাইলাইটছবি: ceBIT.de

ম্যার্কেল বলেন, ‘‘নতুন প্রযুক্তি যখন বিশ্বকে আরো ছোট করে আনছে, তখন সবধরণের সংক্রমণের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ যেমন অর্থনৈতিক সংকটের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার পর এখনও সুপ্ত সংরক্ষণবাদের ভয় রয়ে গেছে৷ এটা এখনও অতীতের কোন ঘটনায় পরিণত হয়নি৷'' ম্যার্কেল জোর দিয়ে বলেন, ‘‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের মুক্ত বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থাকতে হবে, যেন কোন বাধা ছাড়াই উন্নয়নের ধারা ছড়িয়ে পড়তে পারে৷''

এদিকে, সাপাটেরো তাঁর বক্তৃতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত গোটা অঞ্চলের জন্য ‘একক প্রযুক্তি বাজার' গড়ে তোলার ডাক দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘একক প্রযুক্তি বাজার ইইউ এর মধ্যে জাতীয়তার সীমানা দূর করতে পারে৷'' তিনি আরো খোলামেলাভাবেই বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেছনে পড়ে না থাকার জন্য ইউরোপকে আরো উন্নতি করতে হবে৷''

Flash-Galerie Deutschland Messe CeBIT 2010 in Hannover virtuelles Klassenzimmer
‘সেবিট ২০১০’ এ শিশুদের একাংশছবি: AP

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জার্মানির ডিজিটাল অর্থনীতির শীর্ষ লবিইস্ট সেসব রাজনীতিকদের সমালোচনা করেন যারা ইন্টারনেটের প্রসারকে সীমিত করতে চান৷ জার্মানির কম্পিউটিং শিল্প ফেডারেশন ‘বিটকম'-এর প্রধান আউগুস্ট ভিলহেল্ম শেয়ার বলেন, ‘‘তাঁরা যদি শুধুমাত্র ইন্টারনেট থেকে ভয়ের কথাই বলেন, তবে তাঁরা এটাকে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি৷'' শেয়ার বলেন, ‘‘আমরা বর্তমানে ভালো-মন্দ সব মিলিয়ে কিভাবে জীবন-ধারণ করি তারই প্রতিফলন ঘটে ইন্টারনেটে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘ইন্টারনেটের প্রতি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন রকম যা আসলেই আমাদের রাজনীতিকদের বিতর্কের বাইরে৷''

প্রসঙ্গত, গত ২০০১ সালের তুলনায় এই বছর ‘সেবিট'-এর আকার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে৷ ২০০১ সালে অংশ নিয়েছিলো বিভিন্ন দেশের ৮,০৯৩ টি প্রতিষ্ঠান৷ কিন্তু এবার অংশ নিচ্ছে মাত্র ৪,১৫৭ টি প্রতিষ্ঠান৷ এমনকি দীর্ঘদিনের শীর্ষস্থানীয় অংশীদার তাইওয়ান চার বছর আগে পাঠিয়েছিল ৭১১ টি প্রতিষ্ঠান৷ কিন্তু এই বছর তাইওয়ান থেকে ‘সেবিটে' অংশ নিচ্ছে মাত্র ২২০ টি প্রতিষ্ঠান৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী