1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হয়তো অলিম্পিকের জমকালো অনুষ্ঠানে থাকছে না আতশবাজি

২৫ অক্টোবর ২০১০

অলিম্পিকের উদ্বোধনী কিংবা সমাপনী দিনে আতশবাজি ফোটানো হবে না তা কি হতে পারে? কিন্তু তাই হয়তো হতে যাচ্ছে! আগামীতে অলিম্পিকের আসরগুলোতে দর্শকরা হয়তো দেখতে পাবেন না আলোর চমক৷

https://p.dw.com/p/PnK5
এ্যাথেন্সে ২০০৪-এর অলিম্পিকে আতশবাজিছবি: AP

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান জাক্ রগে এমনটাই আভাস দিয়ে জানালেন, কমিটি এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করছে৷ আতশবাজির ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন একটি সুপারিশ পাবার পর আইওসি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েছে৷ আতশবাজিতে ব্যবহৃত উপকরণগুলো থেকে ক্ষতিকারক কার্বন নিঃসরণ হয় বলেই মনে করা হচ্ছে৷

Das Berliner Olympiastadion
বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আতশবাজিছবি: AP

বাজি পোড়ানো বর্জন করা নিয়ে প্রস্তাবনাটি এসেছে শ্রীলংকার অলিম্পিক কমিটির কাছ থেকে৷ তারা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে এক চিঠিতে বলেছে, আগুন নিয়ে এই খেলা বাদ দিয়ে, পরিবর্তে লেজার শো করা যেতে পারে৷ লেজারের আলোর ছটায় নাকি পরিবেশের ক্ষতি হয় না৷

প্রস্তাবনা বিষয়ে শ্রীলংকার অলিম্পিক কমিটির নেতা ম্যাক্সওয়েল ডি সিলভা বলেন, অলিম্পিকের আসরকে বলা হয় পরিচ্ছন্ন খেলা৷ আর এই পরিচ্ছন্ন খেলার মধ্যে পরিবেশ নষ্ট করার মতো কার্যক্রম চলবে, তা তো আর হতে পারে না৷ তাই বিষয়টি নিয়ে আমাদের মতামত এবং প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি৷

অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট রগে জানিয়েছেন, শ্রীলংকার প্রস্তাব এবং এ সম্পর্কিত সমীক্ষাটি খুব শিগগিরই তুলে ধরা হবে অলিম্পিকের পরিবেশ কমিটির সভায়৷ সেখানে আলোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত৷

আইওসির নির্বাহী পরিষদের জার্মান সদস্য টোমাস বাখ্-এর এ সম্পর্কে মত হচ্ছে, কার্বন নিঃসরণ হয় এমন কর্মকান্ড থেকে সরে আসা উচিৎ৷ তিনি এই প্রস্তাবকে সাধু বলেই উল্লেখ করেছেন৷

এখানে বলে রাখা ভালো, ১৯৮৮ সালে সোল অলিম্পিকের গ্রীষ্মকালীন আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় ছেড়ে দেয়া অনেক পায়রা ঝলসে গিয়েছিল আতশবাজির আগুনের আঘাতেই৷ এরপর এর প্রতিবাদ আসে খোদ ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের কাছ থেকে৷ পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানগুলো থেকে বাদ দেয়া হয় পায়রা ছেড়ে দেয়ার অংশটি৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক