1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১৫ বছর বয়সে আটক ওমর খদরের যুদ্ধাপরাধের স্বীকারোক্তি

২৬ অক্টোবর ২০১০

গুয়ানতানামো শিবিরে আট বছর ধরে বন্দি থাকা আফগানিস্তানে ১৫ বছর বয়সে আটক ওমর খদরের যুদ্ধাপরাধের স্বীকারোক্তি৷ তবে শিশু সৈন্য হিসেবে খদরের মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়ে পুনরায় এই মামলার তদন্তের দাবি তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷

https://p.dw.com/p/Pnwf
U.S, Military, Steven David, Guantanamo, Bay, Cuba, ওমর খদর
ফাইল ছবিছবি: AP

আল-কায়েদার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা পরিবারে জন্ম ক্যানাডীয় নাগরিক ওমর খদরের৷ মার্কিন বন্দিশালা গুয়ানতানামো বে'র ছোট্ট ঘরে গত মাসে নিজের ২৪তম জন্ম দিন পালন করেছে খদর৷ দীর্ঘ আট বছরেরও বেশি সময় ধরে গুয়ানতানামোতে রয়েছে সে৷ মিশরীয় বংশোদ্ভূত খদরের বাবা ২০০৩ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে খবর৷ খদরের এক ভাই আব্দুর রহমান ক্যানাডীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছে, সে নিজে এবং তার ভাই-বোনেরা আফগানিস্তানে আল-কায়েদার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে৷ সে বলেছে, ‘‘আমাকে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে৷ আমাকে একজন খারাপ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে৷'' খদরের বোন জয়নব এবং অপর ভাই আব্দুল্লাহর সাথেও আল-কায়েদার কোন সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখাও হয়েছে বলে জানা গেছে৷

খদরের পারিবারিক ইতিহাস এমনটি হলেও সে নিজেকে ক্যানাডার সাথে বেশি করে সম্পৃক্ত বলেই মনে করে, এমন মন্তব্য মার্কিন সাবেক সামরিক আইনজীবী লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিল ক্যোয়েবলারের৷ তবে ওমর খদরের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবচেয়ে প্রশ্নসাপেক্ষ তা হলো সে যখন আফগানিস্তানে আটক হয় তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর৷ ক্যোয়েবলারের ভাষায়, ‘‘তাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন সে ছিল আফগানিস্তানের চলমান যুদ্ধে ভীত-সন্ত্রস্ত এবং আহত ১৫ বছরের বালক৷ সে ঐ সব শিশুদের মতোই যারা ভুল করে সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে৷ আর তার চারপাশে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল৷'' ২০০৮ সালে ক্যানাডীয় সংসদীয় কমিটির কাছে ক্যোয়েবলার জানিয়েছিলেন যে, মার্কিন সৈন্যরা খদরের পিঠে কমপক্ষে দুইবার গুলি করেছে৷ এমনকি অন্য একজন সৈন্য এতে বাধা দিলে তাকে প্রায় মেরে ফেলাই হচ্ছিল৷ খদর নিজেও বলেছে, তাকে গ্রেপ্তারের পর প্রথমে আফগানিস্তানের বাগরাম সেনা শিবিরে এবং পরে গুয়ানতানামো বে বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ আর তার উপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন৷

খদরের ঘটনাটি আবারো আলোচনায় আসল সোমবার যখন সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এড়াতে স্বীকার করল যুদ্ধাপরাধের কথা৷ গুয়ানতানামো বে'র সামরিক আদালতে সে স্বীকার করেছে যে, ২০০২ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ করার সময় সে আল-কায়েদার সাথে কাজ করেছে এবং রাস্তার পাশে বোমা পেতে রেখে এক মার্কিন সৈন্যকে হত্যা করেছে৷ আদালতের কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা না হলেও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভাষ্য, মার্কিন কৌঁসুলি এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে গোপন চুক্তির ভিত্তিতেই হয়তো এমন স্বীকারোক্তি৷ আর এর ফলে খদরকে আরো এক বছর কাটাতে হবে গুয়ানতানামো বন্দিশালায়৷ এরপর ক্যানাডায় ফিরে আরো সাত বছর কাটাতে হবে সেখানকার কারাগারে৷ আসামি পক্ষে আইনজীবী ডেনিস এডনি জানিয়েছেন, এমন ব্যবস্থা করার ব্যাপারে ‘কূটনৈতিক ইঙ্গিত' মিলেছে অটোয়া থেকে৷ তবে ক্যানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরেন্স ক্যানন সোমবার বলেন, ‘‘এটি মার্কিন সরকার এবং খদরের আইনজীবীদের মধ্যকার বিষয় এবং এ ব্যাপারে আর কোন মন্তব্য নেই৷'' এদিকে, খদরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বিবেচনা করে এটিকে পুনরায় তদন্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য