1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডুডলের জন্য মেল করুন

৭ নভেম্বর ২০১৩

সবার নিশ্চয় এ বছরের ২৬ মার্চকে ঘিরে বিশেষ একটি ঘটনার কথা মনে আছে৷ সেদিন গুগল তার ডুডলের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক ঐ দিনটি স্মরণ করেছিল৷ ফেসবুকের একটা উদ্যোগের কারণে সেটা সফল হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/1ADUy
ইভেন্টের পেজছবি: Screenshot

এবার ২০১৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে তেমনি একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ ঐ দিনটাকেও যেন গুগল তার ডুডলের মাধ্যমে তুলে ধরে সেজন্য গুগলকে মেল করার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ মেলে কি লিখতে হবে এবং সেটা কোন ঠিকানায় পাঠাতে হবে সেটা জানিয়ে ফেসবুকে একটা ‘ইভেন্ট' তৈরি করা হয়েছে৷ একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাজ হবে মেলের বিষয়বস্তু আর ঠিকানা কপি করে নিজের মেল থেকে সেটা গুগলকে পাঠানো৷ এভাবে যত বেশি মেল গুগলে যাবে, লক্ষ্য পূরণ হওয়ার সুযোগ ততই বাড়বে৷ উদ্যোক্তারা বলছেন, এভাবে মেল করেই ২৬ মার্চের ডুডলে পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছিল৷

অনেকের মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে, গুগলের ডুডলে পরিবর্তন হলে কি লাভ? তাদের কথা ভেবেই উদ্যোক্তাদের একজন মামুন বিল্লাহ একটি গল্প শেয়ার করেছেন, যেটা লিখেছেন ওবায়েদ হক৷

গল্পটা সংক্ষেপে এরকম: মার্ক বেইলি নামের এক বিদেশি ভদ্রলোক তাঁর নিজের রেস্টুরেন্টে বসে ল্যাপটপে কাজ করছিলেন৷ সেসময় তিনি গুগলে অপরিচিত ডুডল দেখে সেটা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন৷ এরপর ইন্টারনেট ঘেঁটে জানতে পারেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কথা৷ ইতিহাস পড়ে তিনি অবাক হয়ে ভাবেন, একটা ভাষার প্রতি মানুষের এত ভালোবাসা হয় কি করে! যে দেশের মানুষ দুইবেলা পেট পুরে খেতে পারে না, যে দেশের বিরাট সংখ্যক মানুষ রাস্তায় ঘুমায়, যে দেশে শিক্ষা একটা বিলাসিতা সেই দেশের মানুষ শুধু খাওয়া আর পরার চিন্তা করবে সেটাই স্বাভাবিক৷ কিন্তু তারা নিজেদের ভাষাকে এত ভালোবাসে যে তার জন্য বন্দুকের সামনে নিজের বুক পেতে দিতেও দ্বিধা করে না৷ নিজের ভাষার প্রতি তাঁর নিজের ভালোবাসা কতটুকু ভাবতেই মনে মনে লজ্জা পায় মার্ক৷

Screenshot Google Bangladesh Unabhängigkeitstag
২৬ মার্চের সেই ডুডলটি

এরপর তিনি তাঁর রেস্টুরেন্টে কাজ করা বাংলাদেশি নাসেরকে ডেকে পাঠান, যাকে তিনি সবসময় অন্য বিদেশি কর্মীর চেয়ে আলাদা চোখে দেখেছেন৷ কারণ নাসের এসেছে বাংলাদেশ থেকে৷ যে দেশ একেতো গরিব, তার উপর দুর্নীতিতেও পিছিয়ে নেই৷

তবে ভাষার জন্য ত্যাগ আর নানা বিষয়ে বাংলাদেশের উন্নতির কথা জানতে পেরে মার্ক এবার নাসিরকে ডেকে বলেন, সে এখানে কেন, তার তো শহীদ মিনারে যাওয়া উচিত৷ এই কথা শুনে অবাক হয়ে যখন নাসির মার্ককে জানায় যে, সে সকালে শহীদ মিনার হয়ে এসেছে, তখন মার্ক আবারও তাকে সঙ্গে করে শহীদ মিনারে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং জানতে চায় যে রাস্তায় ফুলের দোকান পড়বে কিনা৷

সুতরাং পাঠকবন্ধুরা, গল্পটা কাল্পনিক হলেও আপনার ছোট্ট একটি উদ্যোগ কিন্তু অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে৷ তাই আর দেরি কেন?

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য