1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডাইনোসরের বিলুপ্তি

তাসমিন ওয়াকার/জেডএইচ২৭ জুন ২০১৫

আজ থেকে ঠিক এত বছর আগে ডাইনোসররা বিলুপ্ত হয়েছিল৷ বিজ্ঞানীদের কাছে সে সময়টা পরিচিত পঞ্চম ‘মাস ইক্সটিঙ্কশন' বা ‘ব্যাপক বিলুপ্তি' নামে৷ এত বছর পর এখন চলছে এর ষষ্ঠ সংস্করণ, বলছেন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/1FnPW
Verhältnis Tyrannosaurus Rex Mensch Symbolbild
ছবি: picture alliance/Mary Evans Picture Library/Ardea

তিনটি বিখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় – প্রিন্সটন, বার্কলে, স্ট্যানফোর্ড – এর গবেষকদের একটি গবেষণা সম্প্রতি ‘সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাণীরা আগে যে হারে অবলুপ্তির শিকার হতো এখন সেটা হচ্ছে ১০০ গুণ বেশি হারে! এই হার নাকি ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরদের বিলুপ্তির সময়কার হারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ৷ তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ধীরে ধীরে ষষ্ঠ ‘ব্যাপক বিলুপ্তি'-র দিকে যাচ্ছে বিশ্ব৷ এ জন্য মানুষকেই দায়ী করছেন তাঁরা৷ দিন যত যাচ্ছে মানুষ তত বাড়ছে, আর নিজেদের প্রয়োজনে মানুষ গাছ কাটছে, উজাড় করছে বনাঞ্চল৷ শুধু তাই নয়, বণ্যপ্রাণীদের নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করছে মানুষ৷ এছাড়া রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব৷

অবশ্য, বিজ্ঞানীরা যে বলছেন, গণ অবলুপ্তি শুরু হচ্ছে বা হয়েছে, তার প্রথম শিকার নাকি হতে পারে মানুষ নিজেই৷

আলোচিত এই গবেষণার গবেষক দলের প্রধান গেরাডো সেবালোস ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘গবেষণা শুরুর আগে তাঁর ধারণা ছিল জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির কারণ হয়ত মানুষ, কিন্তু সেটা যে এত বেশি তা ভাবতে পারিনি৷''

আইইউসিএন-এর আরেকটি গবেষণা বলছে, প্রায় ৪১ শতাংশ উভচর এবং ২৬ শতাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণী বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে৷

পরিস্থিতির উন্নয়নে মানুষকে সচেতন করা এবং নীতি নির্ধারকরা যেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবে সেটা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচার' বা ডাব্লিউডাব্লিউএফ, জার্মানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরনুল্ফ ক্যোয়েনকে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য