1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৬ উইকেটে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জিতলো বাংলাদেশ

১৪ মার্চ ২০১১

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডসের খেলা শেষ হলো৷ বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৬১ রান৷ মাঠে নেমে ঝড়ো ব্যাটে ৪১ দশমিক ২ ওভারে ১৬৬ রান করে ৬ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ৷

https://p.dw.com/p/10Yh6
ছবি: AP

স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার আগেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল৷ তাঁকে বোল্ড করেন বুখারি৷

শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন ইমরুল কায়েস এবং মুশফিকুর রহিম৷ এর আগে সাকিব আল হাসান এক রান করে চলে ফিরে যান৷ শাহরিয়ার নাফিস আউট হয়েছেন নিজস্ব সাইত্রিশ রানে৷ তাঁর আগে জুনায়েদ সিদ্দিকী সাজ ঘরে ফিরেছেন ৩৫ রান করে৷

দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ইমরুল কায়েস৷ তিনি করেন ৭৩৷

এ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের দৌড়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ৷ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে কোনো রকম হিসাব নিকাশ ছাড়াই শেষ আটে খেলবে টাইগাররা৷ আর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে৷

চট্টগ্রামে দিনের প্রথমভাগে টাইগারদের বোলিং তোপে ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডসের ইনিংস৷ ৪৬.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ডাচরা৷ ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলাররা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রাখে নেদারল্যান্ডসের ব্যাটসম্যানদের৷ ১০ম ওভারে প্রথম উইকেটের পতন হলেও ডাচদের রান তোলার গতি ছিল শ্লথ৷ ৯.১ ওভারে দলীয় ২৮ রানে ওয়েসলি বারেসিকে এলবিডাব্লিউ করে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান৷

১৩তম ওভারে আব্দুর রাজ্জাক দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন টাইগার শিবিরে৷ ফেরত পাঠান মুদাসসার বুখারিকে৷ তখন তাঁর রান ৬৷ এরপর রানের চাকা একেবারেই শ্লথ হয়ে যায় ডাচদের৷ চাপের মুখে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সোয়ার্কজিনস্কি, ২৮ রানে আর ২৯ রানে টম কুপার ৷ পরে চাপ সামাল দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন রায়ান টেন ডয়েশেট ও কারভেজি৷ এ জুটি ৫ম উইকেটে ৩৪ রান যোগ করেন৷ সোহরাওয়ার্দী শুভর বলে মুশফিক স্ট্যাম্পড করে ফিরিয়ে দেন কারভেজিকে৷ মাত্র আঠারো রানে৷ আজ শুভর বিশ্বকাপে ডেব্যু হলো৷ ডাচদের পক্ষে ডয়েশেট সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন৷ অফ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক নেন ২টি উইকেট৷ কোন উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেন গত দুই ম্যাচের জয়ের নায়ক শফিউল৷ রান আউট হন ৪ ডাচ ব্যাটসম্যান৷ রাজ্জাক ৩টি, শুভ, রুবেল ও সাকিব ১টি করে উইকেট পান৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন