1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৮ বছরের মেয়েটির নিষ্পাপ মুখ কাঁদাচ্ছে সবাইকে

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ইয়েমেনে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে ৮ বছরের শিশু নোরা৷ মার্কিন নাগরিক শিশুটির মৃত্যুর পর ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে৷ প্রশ্ন উঠেছে ওবামা প্রশাসনের ড্রোন হামলা নিয়েও৷

https://p.dw.com/p/2Wu95
Jemen Frauen Engagement für Kriegsopfer
ইয়েমেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাছবি: DW/M. Alhadry

ভিডিওতে ছোট্ট নোরার মৃতদেহ দেখা গেলেও পেন্টাগন বলছে ঐ অভিযানে ১৪ আল কায়েদা সদস্য নিহত হয়েছে৷ এছাড়া মার্কিন নৌবাহিনীর এক সদস্যও নিহত হয়েছেন৷ কিন্তু ইয়েমেনের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নিহতের সংখ্যা ৩০৷ এদের মধ্যে ১০ জন নারী ও শিশু রয়েছে৷ নোরা আল আওলাকী তাদেরই একজন৷

নোরার বাবা ছিলেন অ্যামেরিকান এবং আল কায়েদার মুখপাত্র৷ ২০১১ সালে ওবামা প্রশাসনের ড্রোন হামলায় নিহত হন তিনি৷ তার ১৬ বছরের ভাইও অন্য এক অভিযানে নিহত হয়৷

ট্রাম্প প্রশাসনের এটাই প্রথম সামরিক অভিযান৷ অভিযানের আদেশ দেয়ার আগে গোয়েন্দা সংস্থা বা অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি ট্রাম্প৷ রবিবার ইয়েমেনের কেন্দ্রে মার্কিন বাহিনী এই অভিযান চালায়৷

নোরার দাদা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, মেয়েটির ঘাড়ে বুলেট লাগার পর দুই ঘণ্টা ধরে রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় তার মৃত্যু হয়৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন এই নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন এ হামলা চালিয়েছে৷ এটা খুবই দুঃখজনক, এটা অপরাধের শামিল৷

ধারণা করা হয়েছিল এই অভিযান ওবামা প্রশাসনের অনুমোদিত, অর্থাৎ ওবামা অফিস ছাড়ার আগে এ নির্দেশ দিয়েছেন৷ তবে সোমবার এনবিসি নিউজকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছে৷

ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করার পর অনেকেই নানান মন্তব্য করেছেন৷ প্রায় সাড়ে চারশ মন্তব্যের বেশিরভাগেই এর সঙ্গে ওবামা প্রশাসনের ড্রোন হামলার তুলনা করা হয়েছে৷ মন্তব্যকারীরা বলেছেন, যখন ওবামা প্রশাসন ড্রোন হামলা চালিয়েছিল, সেই সময় অনেক বেসামরিক মানুষ হতাহত হলেও তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি৷ কেউ লিখেছেন, ‘‘মেয়েটির ছবিটি দেখলেই চোখে পানি চলে আসছে৷’’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘‘এ আর নতুন কী? যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের অভিযানে নিষ্পাপ নারী ও শিশুরা প্রায়ই প্রাণ হারায়৷’’

ফেসবুকে পোস্ট করার ৩ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিওটি  দেখা হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার বার৷ ২ হাজার ৮০০ বার শেয়ার করা হয়েছে এটি৷

এপিবি/এসিবি

ইয়েমেন নিয়ে ডিসেম্বরের ৮ তারিখের এই ছবিঘরটি দেখতে পারেন...