1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কলম্বিয়ার নতুন ভোর'

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পাঁচ দশকব্যাপী এই যুদ্ধে প্রায় দু'লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ প্রেসিডেন্ট সান্তোস এই চুক্তিকে ‘কলম্বিয়ার নতুন ভোর' আখ্যা দিয়েছেন৷ বুলেট থেকে তৈরি কলম দিয়ে স্বাক্ষরিত হয় এই চুক্তি৷

https://p.dw.com/p/2Qd0C
শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Vergara

উত্তর কলম্বিয়ার উপকূলে অবস্থিত কার্তাজেনা শহরে চুক্তিস্বাক্ষর উপলক্ষ্যে সম্মিলিত হয়েছিলেন দক্ষিণ অ্যামেরিকার ১৫টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা৷ এছাড়া ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও পোপ ফ্রান্সিসের বিশেষ দূত পিয়েত্রো পারোলিন-এর মতো বিশিষ্ট অতিথি৷ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান মানুয়েল সান্তোস ও ফার্ক অধিনায়ক তিমোলিয়ান খিমেনেস ২৯৭ পাতার নথিটিতে স্বাক্ষর করেন বুলেট থেকে তৈরি কলম দিয়ে৷

সভায় উপস্থিত আড়াই হাজারের বেশি অতিথি-অভ্যাগতদের সকলেই সাদা পোশাক পরে ছিলেন, কেননা সাদা হলো শান্তির প্রতীক৷ সুদীর্ঘ সংঘাতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় ও সেই সঙ্গে ৫০টি সাদা পতাকা উত্তোলন করা হয়৷

চুক্তিস্বাক্ষরের স্বল্প আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ নীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোঘেরিনি ঘোষণা করেন যে, ইইউ ফার্ক-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির তালিকা থেকে সাময়িকভাবে বাদ দিচ্ছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তা করবে কিনা, এ প্রশ্নের উত্তরে কেরি বলেন, ওয়াশিংটন ‘‘তথ্যের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করতে ও সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত''৷

চুক্তির শর্তাবলী

চু্ক্তি অনুযায়ী ‘কলম্বিয়ার সশস্ত্র বিপ্লবী বাহিনী' বা ফার্ক-এর আনুমানিক সাড়ে সাত হাজার যোদ্ধা পাহাড়-জঙ্গলে তাদের শিবিরগুলি আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে পরিত্যাগ করবে ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রত্যাগ করবে৷ পরিবর্তে গোষ্ঠীটিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে৷

ফার্ক যোদ্ধারা তাদের কৃত ‘‘রাজনৈতিক অপরাধের'' জন্য রাজক্ষমা পাবে৷ তবে হত্যাকাণ্ড, শারীরিক নিপীড়ন বা ধর্ষণ এর আওতায় পড়বে না৷ চুক্তিতে এই যুদ্ধের শিকার, অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গটিও বিবেচনা করা হয়েছে৷ অনুরূপভাবে ভূমি সংস্কার ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধের বিষয়গুলিও চুক্তিতে স্থান পেয়েছে৷

মনে রাখা দরকার, এটি ছিল কলম্বিয়ায় শান্তি আনয়নের চতুর্থ প্রচেষ্টা: এর আগে ১৯৮৪, ১৯৯১ ও ১৯৯৯-সালের সব ক'টি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ এবারেও গণভোট এখনও বাকি, কিন্তু তাতে কলম্বিয়ার জনসাধারণের সমর্থন থাকবে বলেই ধরে নেওয়া যায়৷ অপরদিকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ বা ভারতে মাওপন্থি বিদ্রোহী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কলম্বিয়ায় শান্তি আসাটা যে একটা আশার লক্ষণ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)

এই শান্তি কি উপমহাদেশেও সম্ভব? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য