1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনলাইন এবং ক্যাটালগ শপিং-এর জার্মান স্তম্ভ

৩০ ডিসেম্বর ২০১১

অটো ফ্যারজান্ড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভ্যার্নার অটো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর৷ ২১শে ডিসেম্বর ১০২ বছর বয়সে ভ্যার্নার অটো শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷

https://p.dw.com/p/13bwo
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ভ্যার্নার অটোছবি: picture-alliance/ dpa

অনলাইন শপিং-এর সঙ্গে আমরা পরিচিত৷ আগে তা ছিল ক্যাটালগ শপিং৷ গোটা জার্মানিতে এই ক্যাটালগ শপিং-এ শীর্ষ কোম্পানির নাম অটো৷ এই কোম্পানির নাম শোনেনি এমন লোক জার্মানিতে নেই৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিকে পথ চলা শুরু করতে হয়েছিল একেবারে গোড়া থেকে৷ তখন সমাজকে, সমাজের মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর হন ভ্যার্নার অটো৷ যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন সৈনিক৷ যুদ্ধ শেষে তিনি বুট-জুতা তৈরির কারখানা খোলেন৷ কাজ দেন এমন লোকদের যাদের জুতা তৈরির কোন অভিজ্ঞতা ছিলনা৷ কিছুদিন পরেই কোম্পানি বন্ধ করতে বাধ্য হন ভ্যার্নার অটো৷ তবে তিনি দমে যাননি৷ ব্যর্থতাকে তিনি গ্রহণ করেছিলন শিক্ষা হিসেবে৷

এরপর তিনি পার্সেল সার্ভিসের ব্যবসা শুরু করেন৷ ক্যাটালগে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসের ছবি দামসহ তুলে দেন৷ পণ্য পৌছেও দেন ক্রেতাদের কাছে৷ এভাবেই দাঁড়ায় তার নিজস্ব কোম্পানি অটো ফ্যারজান্ড৷ কোন সমস্যা হলে বা পণ্যে ত্রুটি থাকলে তা ক্রেতারা ফেরত পাঠান এবং অভিযোগ করেন৷ সেই অভিযোগ অটো নিজে পড়তেন, উত্তর দিতেন এবং জানাতেন নতুন পণ্য পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে৷ গোটা জার্মানিতে তিনি শুরু করেন এই পণ্য পাঠানোর এই পার্সেল সার্ভিস৷ শুরু হয়েছিল হামবুর্গ শহর থেকে৷

Cover des Otto Katalogs präsentiert von Sylvie van der Vaart
অটো কোম্পানির বিজ্ঞাপন হাতে এক মডেলছবি: picture-alliance / dpa

১৯৫৬ সালে জার্মানিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে কিছু ছিল না৷ প্রতিদিনই সবাইকে কাজ করতে হত৷ ভ্যার্নার অটো ছিলেন প্রথম মালিক যিনি তার কর্মীদের সপ্তাহে একদিন ছুটি মঞ্জুর করেছিলেন৷

১৯৬০ সালে তিনি অ্যামেরিকা বেড়াতে যান৷ সেখানে বড় বড় শপিং কমপ্লেক্স দেখে মুগ্ধ হন এবং জার্মানিতেও এ ধরণের কমপ্লেক্স তৈরির কথা ভাবেন৷ জার্মানিতে তৈরি হয় বড় বড় কমপ্লেক্স, এরপর রাশিয়াতেও অটো তৈরি করেন বড় বড় শপিং মল৷ নিজের এই পার্সেল এবং ক্যাটালগ কোম্পানিকে আরো বিস্তৃত করতে উদ্যোগী হন ভ্যার্নার অটো৷

অটো কোম্পানির রয়েছে ১৩৭ টি শপিং মল এবং আরো ১৯টি তৈরি হচ্ছে৷ অটো পার্সেল সার্ভিসের বাৎসরিক আয় ১১.৪ বিলিয়ন ইউরো৷ ইতিমধ্যে অনলাইন শপিং-এও ঢুকেছে অটো কোম্পানি৷ কিন্তু অর্থের দম্ভ তাঁকে কখনও স্পর্শ করেনি৷ তিনি মুক্ত হস্তে অর্থ দান করেছেন৷ হামবুর্গে তিনি বিকলাঙ্গ শিশুদের জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করেছেন৷ এছাড়াও তৈরি করেছেন অসংখ্য সাহায্য সংস্থা৷ ভ্যার্নার অটোর বড় ছেলে মিশায়েল অটো এবং ছোট ছেলে আলেকজান্ডার ব্যবসার হাল ধরেছেন৷ দুই পুত্র এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাবার নামকে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য