1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অতিমাত্রার চেতনানাশকই মাইকেলের মৃত্যুর কারণ

২৫ আগস্ট ২০০৯

চেতনানাশক প্রপোফল প্রাণঘাতী মাত্রায় সেবন করার কারণেই পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু হয়েছে বলে একটি মার্কিন আদালতে উপস্থাপিত নথিপত্র থেকে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/JHyQ
ছবি: AP

নথিপত্রে এ তথ্য থাকার খবর বেরিয়ে পড়ার পর সোমবার থেকেই আদালত মাইকেলের ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মারের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়ার আদেশ দেয়৷

দু মাস আগে মাইকেলের আকস্মিক মৃত্যুর পর এই ওষুধ সেবনের বিষয়টিই সংবাদ মাধ্যমে জোরালোভাবে আসছিল৷ আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপিত হওয়ায় এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে আমলে নিয়ে আদালত কনরাড মারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

গত ২৫ জুন ৫০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মাইকেল জ্যাকসন৷ এরপর থেকেই ফেডারেল সংস্থাগুলো ও রাজ্য কর্তৃপক্ষের তদন্তের মূলে ছিলেন মাইকেলের ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মারে৷ মাইকেলের মৃত্যুর সময় মারেই তার পাশে ছিলেন৷

Michael Jacksons Arzt, Dr. Conrad Murray
কনরাড মারেছবি: AP Photo/Houston Chronicle

কর্তৃপক্ষ ডা. মারের বাড়ি ও কার্যালয়ে তল্লাশি চালায়৷ সেখান থেকে নথি পত্র সংগ্রহ করে দেখা গেছে, জ্যাকসন বেশি ডোজের ওষুধ সেবন ছাড়া ঘুমাতে পারতেন না৷ মাইকেল নিয়মিত প্রপোফল ব্যবহার করতেন৷ এটি সাধারণত অস্ত্রোপচারের আগে রোগীদের অচেতন করার জন্য ব্যবহার করা হয়৷

ডা. মারের কার্যালয় তল্লাশি চালানোর জন্য ক্যালিফোর্নিয়া থেকে যে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয় তাতে লস এঞ্জেলেস এর চিফ মেডিকেল এক্সামিনার ডা. লক্ষণ সত্যাভিস্বরন এ ইঙ্গিতই দিয়েছেন যে, বিষক্রিয়ার প্রাথমিক ফল এবং জ্যাকসনের মৃত্যুর কারণের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, প্রপোফল প্রাণঘাতী মাত্রায় গ্রহণের ফলেই জ্যাকসন মারা গেছেন৷

নথিটি হিউস্টনের হ্যারিস কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট ক্লার্ক প্রকাশ করেছে৷ এখানেই রয়েছে ডা. মারের কার্যালয় রয়েছে৷ গত ২২ জুলাই মার্কিন এজেন্টরা সেখানে তল্লাশি চালায়৷

হিউস্টনের পুলিশ কর্মকর্তা আ জি চান্স জানান,যে সমস্ত প্রমাণ মিলেছে তাতে ডাক্তার মারেই ওই কাজ করেছেন বলে আলামত পাওয়া যাচ্ছে৷

এ সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য ডা. মারের অ্যাটর্নি এড কের্নফকে পাওয়া যায়নি৷ জ্যাকসনের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা অপেক্ষা করছে৷ তবে বিচার প্রক্রিয়ায় পূর্ণ আস্থার কথা জানিয়েছেন তারা৷

নথিপত্র থেকে দেখা গেছে, ডা. মারে মাইকেলের মৃত্যুর পর স্বীকার করেছেন যে, তিনি ছয় সপ্তাহ ধরে রাতে পপ তারকাকে ৫০ মিলিগ্রামের প্রপোফল দিতেন৷ জুনের ২২ তারিখ প্রপোফলের পাশাপাশি আরো দুটি ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয় তাকে৷

দুদিন পর প্রপোফল বাদ দিয়ে অন্য দুটি ওষুধ দিলেও ঘুম হয় তাঁর৷ পরের সারা রাত জেগে ছিলেন মাইকেল৷ ডা. মারে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তখন পপ তারকার বারংবার অনুরোধের পর ঘুম পাড়াতে তিনি আরেকটি ওষুধের সঙ্গে মিশিয়ে ২৫ মিলিগ্রাম প্রপোফল দেন৷ এতক্ষণ পাশে থাকলেও ওষুধ দিয়েই বাথরুমে যান মারে৷ দু মিনিট বাদে বাথরুম থেকে ফিরে দেখেন মাইকেল আর শ্বাস নিচ্ছেন না৷

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মাইকেলকে যে সব ওষুধ দেওয়া হতো তা অত্যন্ত বিপজ্জনক৷ তারা মনে করছেন, এক্ষেত্র চিকিৎসায় গাফিলাতি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার৷

প্রতিবেদক: নাসিরউদ্দিন খোকন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান