1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনিচ্ছার সিঁদুর মুছতে প্রাণ দিল টুনি

২ নভেম্বর ২০১০

বখাটের উত্ত্যক্তে প্রাণ দিল আরেক তরুণী৷ রয়েছে ঢাকায় হেলমেট না পড়া আর সিটবেল্ট না বাঁধার দায়ে মামলার খবর৷ আর যুদ্ধাপরাধের বিচারে সন্দেহভাজনদের আটকের নতুন সংশোধনী নিয়ে প্রতিবেদন৷ এসবই আজকের গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/Pvxn
নারী উত্ত্যক্তের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে (ফাইল ফটো)ছবি: BilderBox

রূপালী'র আত্মহত্যা

‘বখাটের সিঁদুর-বিষে নিজেই নীল রূপালী' - দৈনিক কালের কণ্ঠের শিরোনাম এটি৷ সোমবার সকালে শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যাচ্ছিলেন রূপালী রানী ওরফে টুনি৷ কিন্তু বখাটে সুশীল মণ্ডল তাকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে বাড়িতে নিয়ে যায়৷ এরপর টুনির সিঁথিতে জোর করে সিঁদুর পরিয়ে দেয় সুশীল৷ একটি ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখে তাকে৷ এরপর ঘন্টাখানেকের মধ্যেই আত্মহত্যা করে টুনি৷ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের এই ঘটনা আজকের সব দৈনিকের প্রথম পাতায় জায়গা করে নিয়েছে৷ দৈনিক প্রথম আলো জানাচ্ছে, ‘এবার প্রাণ গেল স্কুলছাত্রীর'৷ টুনিকে অপহরণের পর ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন৷ এদিকে, দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম, ‘ইভটিজিং নিয়ে সরকার বিব্রত'৷ গত কয়েকদিনে উত্ত্যক্তের ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা তিনজন৷

সড়ক নিরাপত্তা

দৈনিক সমকালের শিরোনাম, ‘হেলমেট, সিটবেল্ট'৷ গতকাল ঢাকায় অধিকাংশ মোটর সাইকেল আরোহী হেলমেট পড়েছেন৷ প্রাইভেট কারের চালকরা বেঁধেছেন সিটবেল্ট৷ তারপরও ভ্রাম্যমাণ আদালতে মামলা হয়েছে দেড় হাজার৷ তবে, অনেক পুলিশ সার্জেন্ট এই আইন মানেননি৷ এমনকি পুলিশের গাড়ির চালকরাও সিটবেল্ট বাঁধেননি৷ এই বিষয়টিকেই শিরোনামে তুলে এনেছে দৈনিক ইত্তেফাক, ‘চালকরা সচেতন, পুলিশই আইন মানেনি'৷

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ দেখা যাচ্ছে এই খবর৷ শিরোনাম, ‘যুদ্ধাপরাধ: তদন্ত চলাকালীন গ্রেপ্তার করা যাবে'৷ তদন্ত চলাকালীন গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিয়ে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের কার্যপ্রণালী বিধিতে ১০টি সংশোধনী আনা হয়েছে৷ এর ফলে একাধিক সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীকে আটক সম্ভব হবে বলে মত দিয়েছেন আইনজীবীরা৷

এত মেধা অপকর্মে!

‘নকলের প্রশিক্ষণ চলত বাসায়, আমিনুল পড়তেন আঠারো ঘন্টা'৷ সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষায় মুঠোফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমে নকল সরবরাহের অভিযোগ আটক হন কয়েক শিক্ষার্থী৷ মেধাবী এই শিক্ষার্থীরা নিজেরাও পড়তেন ঘন্টার পর ঘন্টা৷ দৈনিক কালেরকণ্ঠের তাই যুতসই শিরোনাম, ‘এত মেধা অপকর্মে'৷

গ্রন্থনা: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম