1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ঢুকছে ‘কট্টর ইসলামপন্থি’রা

৪ জুন ২০১৮

অনিয়ম আর দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে চরমপন্থি ইসলামিস্টরা জার্মানিতে প্রবেশ ও বসবাসের অনুমতি পাচ্ছে৷ এ নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ৷

https://p.dw.com/p/2yuhR
Symbolbild BAMF
ছবি: Getty Images/S. Gallup

অন্তত দুইজন উগ্রপন্থির অভিবাসন আবেদন মঞ্জুরের অভিযোগ উঠেছে জার্মানির ব্রেমেন অভিবাসন অফিসের বিরুদ্ধে৷

জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে ওই দুইজন উগ্রপন্থির পাশাপাশি আরও এমন ৪৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীও দেশটিতে থাকার অনুমোদন পেয়েছেন, যাদের ‘কট্টরপন্থী ইসলামী' দলগুলোর সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে৷

জার্মানির সাংবাদিকদের সংগঠন রিডাকসিওন্সনেটজভের্ক ডয়েচলাণ্ড জানিয়েছে, ব্রেমেন অফিস ২০০০ সাল থেকে অন্তত ৮০ জন এমন অভিবাসীকে থাকার অনুমোদন দিয়েছে, যারা কোনওভাবেই অনুমোদন পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন না৷ 

বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, দুইজন উগ্রপন্থির মধ্যে অন্তত একজনের সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী হামলার সাথে জড়িত থাকার ঝুঁকি রয়েছে৷

অভিবাসন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে গত মাসে ব্রেমেন অফিসকে নতুন করে কোনও আবেদন বিবেচনা করার প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়

এ বছরের এপ্রিলে ব্রেমেন অভিবাসন অফিসের নারী কর্মকর্তা উলরিখে বি.-এর দুর্নীতি নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দেয়া হয়৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, অন্য চার কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ১২০০ শরণার্থীকে জার্মানির অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বৈধ করার ব্যাপারে ঘুষ নেয়া৷

২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বৈধ হওয়া ওইসব শরণার্থীর জার্মানিতে অভিবাসনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতার ঘাটতি ছিল৷

বিএএমএফ প্রধান উটা কর্ড্ট জানিয়েছিলেন, ২০০০ সাল থেকে ব্রেমেনের অফিস মোট ১৮ হাজার আশ্রয়প্রার্থীর আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে৷

আগামী তিন মাসে ওইসব সিদ্ধান্তই আবার খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছিলেন উটা কর্ড্ট৷  

অভিযুক্ত ব্রেমেন অভিবাসন কর্মকর্তা উলরিখে বি. অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা এ ধরনের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তিনি পালটা অভিযোগ করে বলেছেন, জার্মান অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ও সরকার অভিবাসন সংক্রান্ত অব্যবস্থাপনা ঢাকতেই তাকে ‘বলির পাঠা' বানাচ্ছে৷ 

২০১৫ সালের শরণার্থীর সঙ্কট শুরু হওয়ার পর থেকেই জার্মানির অভিবাসন অফিসগুলো কড়া নজরদারিতে এসেছে৷ 

১ লাখেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বৈধ করে নেওয়ার সরকারী সিদ্ধান্তের পর এসব অভিবাসন অফিসে ব্যস্ততা ও চাপ বেড়েছে৷ ফলে অভিবাসন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যাও ৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৩০০ করতে হয়েছে৷

এছাড়া প্রত্যেক অভিবাসন অফিসকে গড়ে সাড়ে ৩টি করে অভিবাসন আবেদনের ব্যাপারে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ গত বছর ৬৬টি অভিবাসন অফিসের মধ্যে মাত্র তিনটি আবেদন নিষ্পত্তির এ ন্যূনতম লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে৷ 

এদিকে অভিবাসন দুর্নীতি এবং ব্যবস্থাপনায় গলদের জন্য জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ‘গা-ছাড়া' মনোভাবকে দায়ী করেছে অভিবাসন অফিসের সাবেক প্রধান ফ্রাঙ্ক ইউরগোন ভাইজার৷

২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অভিবাসন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ভাইজার বলেন, ‘‘বারবার সাবধান করার পরও ব্যর্থতা সরকারের গা ছাড়া মনোভাবের কারণে হয়েছে৷ এ ধরনের অবস্থা প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল৷''

এইচআই/এসিবি (ডেভিড মার্টিন/ডিপিএ)