1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ম্যাচ মেকিং’ করে নোবেল জয়

১৫ অক্টোবর ২০১২

অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজে ‘ম্যাচ মেকিং’ সহজ করতে উল্লেখযোগ্য অবদানের কারণে নোবেল পুরস্কার পেলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ অ্যালভিন রথ ও লয়েড শ্যাপলি৷

https://p.dw.com/p/16QDq
ছবি: picture-alliance/dpa

অ্যামেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক প্রান্তে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট কিছুতেই কাটছে না৷ তাই অনেকে ভেবেছিলেন, এ বছরের নোবেল পুরস্কার এমন কেউ পাবেন, যিনি অর্থনীতির ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাতে পারবেন৷ কিন্তু পুরস্কার পেলেন এমন দুই ব্যক্তি, প্রথম দৃষ্টিতে যাদের কাজের সঙ্গে অর্থনীতির যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন৷

যেমন মানুষের শরীরের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গেলে ‘ট্রন্সপ্লান্টেশন' বা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন পড়ে৷ উপযুক্ত দাতা খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ নয়৷ খোঁজার কোনো সহজ পদ্ধতিও নেই৷ ফলে ‘ম্যাচিং'এর প্রক্রিয়া খুব জটিল ও কঠিন হয়ে পড়ে৷ অ্যালভিন রথ ও লয়েড শ্যাপলি ঠিক সেই কাজটিকেই সহজ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন৷ না, চিকিৎসার ক্ষেত্রে নয় – ‘থিয়োরি অফ স্টেবল অ্যালোকেশনস অ্যান্ড মার্কেট ডিজাইন'এর সাহায্যে দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগের কাজ সহজ করে তুলেছেন রথ ও শ্যাপলি৷ রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি তাঁদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছে৷ বাস্তব পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক তত্ত্বের এই প্রয়োগকে ‘ইকোনমিক ইঞ্জিনিয়ারিং' বলে বর্ণনা করা হয়েছে৷

Nobelpreis für Wirtschaft 2012 Alvin Roth and Lloyd Shapley SCHLECHTE QUALITÄT
৬০ বছর বয়স্ক অ্যালভিন রথ বস্টন শহরে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল এবং ৮৯ বছর বয়সী লয়েড শ্যাপলি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেনছবি: Reuters

রথ ও শ্যাপলি'র কাজের মূলমন্ত্র হলো এ রকম৷ বাজারে যে কোনো সম্পদের মূল্য স্থির করার একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে৷ যেমন পেট্রোলিয়ামের মূল্য বাড়লে ক্রেতা জ্বালানি বাঁচানোর চেষ্টা করে৷ বেতন বেশি বলে কোনো নির্দিষ্ট পেশার প্রতি আগ্রহ বাড়ে৷ এই দুই পক্ষকে অর্থনীতির ভাষায় ‘এজেন্ট' বলা হয়৷ কিন্তু সব বাজারে শুধু আর্থিক মূল্যের সাহায্যে ‘এজেন্ট'দের সংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব নয়৷ যেমন কোনো ডাক্তার শুধু অর্থের কারণেই নির্দিষ্ট হাসপাতালে কাজ করতে চান না৷ ছাত্রছাত্রীরাও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেন একাধিক কারণে৷ স্থিতিশীলতা সেখানে একটা বড় কারণ৷ অর্থাৎ সরাসরি লাভ বা মুনাফার আশা করে না কোনো পক্ষ৷ সেই ১৯৬২ সালেই শ্যাপলি এই ‘স্টেবিলিটি'র কথা বলেছেন৷ বিবাহের ক্ষেত্রেও তিনি এই দৃষ্টান্ত দিয়েছিলেন৷

৬০ বছর বয়স্ক অ্যালভিন রথ বস্টন শহরে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল এবং ৮৯ বছর বয়সি লয়েড শ্যাপলি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন৷ দুজন আলাদা আলাদা কাজ করলেও তাঁদের গবেষণাকে পরস্পরের সম্পূরক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে৷ শ্যাপলি'র তত্ত্বের ভিত্তিতেই রথ বাস্তবমুখী গবেষণা চালিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য