1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের সুপার টেলিস্কোপ

২৪ আগস্ট ২০০৯

অস্ট্রেলিয়া ও প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে বিশালাকায় এক রেডিও টেলিস্কোপ স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে৷ মহাজগতে বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধানই হবে এ প্রকল্পের লক্ষ্য৷

https://p.dw.com/p/JHFU
ফাইল ফটোছবি: AP

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ দুটি জানায়, ২১০ মার্কিন ডলারের তাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি আর্ন্তজাতিক স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারেই (এসকেএ) এর তালিকাভুক্ত দুটির একটি৷ এসকেএ হচ্ছে চার হাজার টেলিস্কোপ একত্র করে একটি যন্ত্রে স্থাপন করে দূর মহাকাশে লক্ষ্য রাখার একটি প্রকল্প৷

শুক্রবার সিডনিতে এ সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী নিউ জিল্যান্ডের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী গেরি ব্রাউনলি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এসকেএ প্রকল্পের একুশ শতকের সেরা বৈজ্ঞানিক প্রকল্প হওয়ার সব সম্ভাবনাই আছে৷ এই প্রকল্পে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে৷ বিজ্ঞানের মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজারই চেষ্টা করা হবে প্রকল্পে৷ এই টেলিস্কোপ অতীতের অনেক তারা কে দেখতে পাবে জানিয়ে ব্রাউনলি আশা প্রকাশ করেন, এটি হয়ে উঠতে পারে মহা-বৈজ্ঞানিক প্রকল্প৷ অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞান মন্ত্রী কিম ক্যার জানান, যৌথ উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূল ধরে নিউ জিল্যান্ড পর্যন্ত পাঁচ হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চার হাজার অ্যান্টেনা লাগানো হবে৷ তবে মূল প্রকল্পটি এই দুদেশের হাতে যাবে কি না তা এখনও ঠিক হয়নি৷ দক্ষিণ আফ্রিকা হচ্ছে মূল প্রকল্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী৷ প্রকল্প কারা বাস্তবায়ন করবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ২০১২ তে৷ সে থেকে নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ছয় থেকে আট বছর৷

এ প্রকল্প পেতে অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই আর্জেন্টিনা, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে সেরা দুইয়ে পৌঁছেছে৷ ১৯টি দেশের ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যাগে এসকেএ প্রকল্প হচ্ছে৷ অর্থের যোগানদাতা হবে অংশীদার দেশের সরকারগুলো৷

পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণ আছে কিনা; বিগ ব্যাং বা মহা বিস্ফোরণের পর কী কী ঘটেছিল-বিজ্ঞানের একেবারে মৌলিক এসব প্রশ্নের আরো খোলাসা জবাব পাওয়া যেতে পারে এ প্রকল্প থেকে৷

প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার