1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নিচ্ছেন বাইচুং

২৪ আগস্ট ২০১১

মাঠে চোট পেয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে মাঠের বাইরে ছিলেন ভারতের ফুটবল তারকা বাইচুং ভুটিয়া৷ বুধবার তিনি জানিয়ে দিলেন, তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/12Mol
বাইচুং ভুটিয়াছবি: picture-alliance/dpa

গত জানুয়ারি মাসে কাতারে এশীয় কাপে প্রায় খেলতেই পারেন নি বাইচুং৷ বেশ কয়েক বার মাঠে ফেরার চেষ্টা করেও আগের সেই ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছেন নি৷ ফলে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ভারতের জাতীয় দলে খেলার পর আর সেই জায়গা আঁকড়ে ধরে রাখতে চান না তিনি৷ এর মধ্যে প্রায় এক দশক ধরে ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি৷ ১৯৯৫ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে নেহেরু কাপে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথম বার দেশের জার্সি গায়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ আগামী ডিসেম্বর মাসে ৩৫শে পা দিচ্ছেন সিকিমের এই খেলোয়াড়৷ এর আগে ২০০৬ সালেও একবার অবসরের কথা ভেবেছিলেন বাইচুং৷ কিন্তু জাতীয় দলের তৎকালীন কোচ বব হিউটন সেযাত্রায় তাঁকে খেলা চালিয়ে যেতে রাজি করাতে পেরেছিলেন৷

Indischer Fusballspieler Bhaichung Bhutia
ভবিষ্যৎ ফুটবলার গড়ে তোলার কাজেও সক্রিয় বাইচুংছবি: DW
Indischer Fusballspieler Bhaichung Bhutia
ভারতে ফুটবলকে জনপ্রিয় করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন বাইচুংছবি: DW

জাতীয় দলের বাইরেও বাইচুং নানা ভাবে সক্রিয়৷ ‘ইউনাইটেড সিকিম এফ সি ফুটবল ক্লাবের যৌথ মালিক ও অন্যতম খেলোয়াড় তিনি৷ ১৯৯৯ সালে প্রথম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে ইউরোপে পেশাদারি ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি৷ ইংল্যান্ডের বারি ক্লাবের সঙ্গে ৩ বছরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি৷ 

এক সংবাদ সম্মেলনে বাইচুং বলেন, ‘‘যে কোনো ফুটবলারের পক্ষেই অবসর নেওয়া অত্যন্ত কঠিন এক সিদ্ধান্ত৷ আমিও কোনো ব্যতিক্রম নয়৷ কিন্তু সবাইকেই কোনো এক দিন অবসর নিতে হয়৷ আমি কোনো ম্যাচের পর অবসর নিতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু বার বার চোট পাওয়ায় শেষ বারের মতো গায়ে ভারতের জার্সি চাপানোর সুযোগ পেলাম না৷’’ ভারতীয় ফুটবল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কুশল দাস যাবতীয় সাফল্যের জন্য বাইচুং’কে ধন্যবাদ জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘সব ভালো জিনিস শেষ হয়ে যায়৷ তবে ভবিষ্যতে ভারতে ফুটবলের উন্নতির জন্য সংগঠন বাইচুং’এর সাহায্যের আশা করে৷’’

স্বীকৃতিও কম পান নি বাইচুং৷ পদ্মশ্রী ও অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন৷ ক্রিকেট-পাগল ভারতে ফুটবলকে জনপ্রিয় করে তুলতে তাঁর অবদান কম নয়৷ আডিডাস ও নাইকি'র মতো কোম্পানির বিজ্ঞাপনেও তাঁকে দেখা গেছে৷ শুধু ভারত নয়, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বাইচুং'এর অনুরাগীদের সংখ্যা কম নয়৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক