1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আন্তর্জাতিক হলোকস্ট স্মরণ দিবস’-এ জার্মানিতে এলেন পেরেস

২৭ জানুয়ারি ২০১০

২৭শে জানুয়ারি আন্তর্জাতিক হলোকস্ট স্মরণ দিবস৷ অর্থাৎ নাৎসীদের ইহুদী নিধনযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের স্মরণ করার দিন৷ তাই এ দিনটিকে স্মরণ করতে এখন জার্মানিতে ইসরায়েলী প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস৷

https://p.dw.com/p/LhWL
জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট ক্যোয়েলার-এর সঙ্গে ইসরায়েলী প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস (বামে)ছবি: AP

মঙ্গলবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে এসে পৌঁছোতেই শিমন পেরেস'কে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট ক্যোয়েলার৷ বলেন, ইহুদী নিধনযজ্ঞের দায়ভাগ জার্মান আত্মপরিচয়েরই একটি অংশ৷ যাঁরা তার শিকার হন, তাঁদের জন্য শোক, ভয়াবহ ঐ অপরাধকর্মের জন্য লজ্জা, ইহুদী জনগোষ্ঠী ও যুদ্ধকালীন এক সময়কার প্রতিপক্ষদের সঙ্গে সম্প্রীতি - এ সবই আমাদেরকে নিয়ে যায় আমাদের প্রজাতন্ত্রের শিকড়ে৷

ক্যোয়েলার-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর পর, বার্লিনের গ্রুনেভাল্ড রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন ইসরায়েলী প্রেসিডেন্ট৷ এখান থেকেই এক সময় বহু ইহুদিকে বিভিন্ন নিধন শিবিরে পাঠানো হয়েছিল৷

Peres / Köhler / Gedenken / Holocaust
ক্যোয়েলার-এর সঙ্গে গ্রুনেভাল্ড রেল স্টেশন পরিদর্শনের সময় পেরেসছবি: AP

এরপর জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে দেখা করেন শিমন পেরেস৷ আলোচনা হয় ইরানের উপর আরো নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি নিয়ে৷ পেরেস জানান, ইসরায়েল ইরানের পরমাণু পরিকল্পনা নিয়ে আশঙ্কিত৷ তাঁর মতে, এ পরিকল্পনা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷ উত্তরে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘ইরানের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে বারবার যেভাবে নাকচ করছেন - জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে তা আমি কখনই মেনে নিতে পারি না৷ ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যত সুরক্ষা করা আমাদের মৌলিক নীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷''

Deutschland Israel Merkel Peres
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে শিমন পেরেসছবি: AP

তবে ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর ক্ষেত্রে, পশ্চিম তীরে ইহুতি বসতি সম্প্রসারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ম্যার্কেল৷ যদিও ইসরায়েলের ব্যাপারে জার্মানির যে একটি বিশেষ দায়িত্ববোধ আছে - সে কথাও স্বীকার করেন তিনি৷ ইসরায়েলী প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘বাস্তব সত্য অথবা ইতিহাস - যে কোন দিক থেকেই ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের হাতে দ্বিজাতি তত্ত্ব মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোন দ্বিতীয় রাস্তা খোলা নেই৷ অন্য যে কোন পথই অত্যন্ত ভয়াবহ৷ তাই সে কথা আমরা কল্পনাও করতে চাই না৷''

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে জার্মানির পুনরেকত্রিকরণের পর, এই প্রথমবার, জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্দেস্টাগে এক স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন কোনো ইসরায়েলী প্রেসিডেন্ট৷ ঠিক ৬৫ বছর আগে, ১৯৪৫ সালের এই দিনে নাৎসীদের কুখ্যাত আউশভিৎস-বির্কেনাউ নিধন শিবির মুক্ত হয়েছিল সোভিয়েত সেনাদের হাতে৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই, জার্মানি ও ইসরায়েলের দ্বীপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ২৭শে জানুয়ারি, বুধবারের এ দিনটি হতে চলেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ২৭শে জানুয়ারি থেকে এই আন্তর্জাতিক হলোকস্ট স্মরণ দিবস পালন করে আসছে জার্মানি৷

প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : আরাফাতুল ইসলাম