1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরব বিশ্ব বিক্ষোভে উত্তাল

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১

যুব সমাজ, বেকারত্ব আর ইন্টারনেটের সংমিশ্রণে এই অপ্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক নবজাগরণ৷ কিন্তু বাস্তব এবং ইতিহাস কি তার জন্য প্রস্তুত?

https://p.dw.com/p/10JKu
মানামা’র কাছে হাইওয়েতে সেনাদের ট্যাংকছবি: AP

বাহরাইন, লিবিয়া, ইয়েমেন৷ সর্বত্রই ঝড়ের পূর্বাভাস৷ বলতে কি, ঝড়ের পূর্বাভাস নয়, ঝড় শুরু হয়ে গেছে৷ তবে তার মধ্যে কোন ঝড় কালবৈশাখী হবে, আর কোন ঝড় খানিকটা নাড়া দিয়ে যাবে, তা বলা শক্ত৷

আসলে যে দেশগুলোতে বিক্ষোভ চলেছে, তাদের সকলেরই নিজস্ব চরিত্র এবং ইতিহাস আলাদা৷ বাহরাইন তেল-সমৃদ্ধ দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র৷ দেশের শাসক এক সুন্নি নৃপতি, তাঁর পরিবার ও সাঙ্গপাঙ্গরা৷ কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষ শিয়া৷ তাদের না আছে সরকারের উচ্চপদগুলি পাবার আশা, না আর্থিক স্বচ্ছলতা৷ কাজেই তারা চায় সংস্কার৷ কিন্তু রাজধানী মানামা'র পার্ল স্কোয়ারকে কায়রোর তাহরির চত্বরে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়েছে বাহরাইনের বিক্ষোভকারীরা৷

তার কারণ বৃহস্পতিবার আলো ফোটার আগেই রায়ট পুলিশ পার্ল চত্বরে হানা দেয়৷ সে অভিযানে সব মিলিয়ে চার জন বিক্ষোভকারী প্রাণ হারায়, ২৩০ জনের বেশী আহত হয়, অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তারপর সেনারাই নিয়ন্ত্রণ করছে মানামার পথঘাট৷ এ' হচ্ছে পরিষ্কার দমননীতি৷ এছাড়া শাসক মহলের বাঁচার কোনো উপায় নেই৷ ওদিকে শিয়া অসন্তোষ সৌদি আরবেও ছড়াতে পারে, যদিও শিয়ারা সেখানে সংখ্যালঘু৷ কিন্তু সেখানে শিয়াদের বাস ঠিক তেলের খনি এলাকাগুলোতে৷ আজ শুক্রবার বাহরাইনের বিক্ষোভে নিহতদের দাফন৷ সেই উপলক্ষে আবার প্রতিবাদ দানা বাঁধতে পারে৷

লিবিয়ার পরিস্থিতি

সেখানেও বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ, যেমন বৃহস্পতিবার রাজধানী ত্রিপোলিতে বিরোধীদের ডাকা ‘‘রোষের দিন'' ছিল৷ কিন্তু লিবিয়ায় গাদ্দাফির পেটোয়া সব বিপ্লবী কমিটি আছে - ঠিক ইরানের কায়দায়৷ তারাই নাকি সেনা-পুলিশের সঙ্গে বেনগাজিতে গুলি চালিয়ে সাতজন বিক্ষোভকারীর প্রাণ নিয়েছে৷ তারাই বৃহস্পতিবার রাজধানী ত্রিপোলির সবুজ চত্বরে গাদ্দাফির সমর্থনে ব়্যালি করেছে৷ তাদের গুলিতেই বুধবার আল-বাইদা'য় চারজন নিহত হয়েছে৷

Superteaser NO FLASH Jemen Proteste in Aden
এডেনে পুলিশের গাড়ি পুড়ছেছবি: picture alliance/dpa

ইয়েমেনে বিক্ষোভ

ইয়েমেনে বিক্ষোভ দক্ষিণেও ছড়িয়েছে - যেমন এডেন বন্দরে৷ এবং ঐ দক্ষিণেই প্রেসিডেন্ট সালেহ'র সরকারের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেশী৷ তাই এডেন বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে চারজন বিক্ষোভকারী, আহত আরো ১৭ জন৷ মনে রাখা দরকার, ইয়েমেনের তরুণ সমাজ কিন্তু দুর্নীতি আর বেকারত্বের কষাঘাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে৷ অপরদিকে গোষ্ঠীভিত্তিক, ধর্মপ্রাণ এই সমাজে বিরোধীদের জোট বাঁধা প্রায় অসম্ভব৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার