1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো কাপ

১৯ মে ২০১২

গ্রিস, রাশিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্র৷ জর্জোস কারাগুনিস, আন্দ্রেই আর্শাভিন ও টোমাস রসিচকি৷ ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে এদের নাম স্বর্ণাক্ষরে না হলেও, রুপোর জলে লেখা থাকবে৷ আবার মাঠে নামছেন তারা৷

https://p.dw.com/p/14xJN
firo : Fußball,Fussball, International, Griechenland Rumänien - Griechenland - 1:2 ROMANIA - GREECE (FRIENDLY) 15.11.2011 Giorgos Karagounis - Einzelaktion
Giorgos Karagounisছবি: picture alliance/augenklick/firo Sportphoto

৩৫ বছর বয়সী জর্জোস কারাগুনিস'কে দিয়েই শুরু করা যাক৷ পানাথিনাইকোস এথেন্সের মিডফিল্ডার৷ গ্রিসের হয়ে ১১৫ বার খেলেছেন এবং আজও খেলছেন, যদিও কোচ ফের্নান্দো সান্টোস তাঁকে রয়ে-সয়ে কাজে লাগান৷

জার্মান কোচ অটো রেহাগেল, যাকে গ্রিকরা নাম দিয়েছিল ‘রেহাক্লিস', তিনি বিদায় নেবার পরও, এবং ইউরো ২০০৪'এ গ্রিসের আশ্চর্য জয়ের আট বছর পরেও কারাগুনিস এখনও স্বপ্ন দেখছেন৷ শুধু স্পেন, জার্মানি, ইটালি বা নেদারল্যান্ডস কেন, ‘‘আমাদেরও উচ্চাকাঙ্খা আছে,'' এএফপি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন কারাগুনিস৷ তিনি বিশেষ করে বলেছেন গ্রিক দলের টিম স্পিরিটের কথা৷ বলেছেন, দেশের হয়ে খেলার মধ্যে যে ‘প্যাশন' আছে, নেশা, উত্তেজনা, প্রেরণা আছে, তার কথা৷

গ্রুপ পর্যায়ে গ্রিস এবার মাঠে নামছে পোল্যান্ড, রাশিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে৷ এবং এই গ্রুপের চূড়ান্ত ফালাফল যে কি হবে, তা পণ্ডিতদের পক্ষেও বলা অসম্ভব৷ কাজেই কারাগুনিস যদি কোনো পুরাতন গ্রিক গাথার মতো ইউরো ২০০৪'এর ফাইনালের কথা স্মরণ করে প্রেরণা পেতে চান, তাহলে দোষের কিছু নেই: ‘‘আমরা বহু বাধার সঙ্গে লড়েছি, শেষ অবধি ন'জন প্লেয়ার নিয়ে খেলে একটি অসাধারণ জয় পেয়েছি, যা কিনা আমাদের জাতীয় দলের ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ জয়৷''

epa02962422 Andrey Arshavin (R) of Russia vies for the ball with Alexandre Gutierrez (L) of Andorra during their UEFA Euro 2012 qualifying soccer match at Luzhniki stadium in Moscow, Russia, 11 October 2011. EPA/YURI KOCHETKOV +++(c) dpa - Bildfunk+++ Schlagworte sport, Fußball
রুশ দলের ক্যাপ্টেন আন্দ্রেই আর্শাভিনছবি: picture-alliance/dpa

রুশিদের ‘শাভা'

আন্দ্রেই আর্শাভিন'এর বয়স আজ ত্রিশ৷ রুশ দলের ক্যাপ্টেন৷ পেশাগতভাবে খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব আর্সেনালের হয়ে৷ ইউরো ২০০৮'এ আগুন ছুটিয়েছিলেন এই আর্শাভিন, রুশিদের প্রিয় ‘শাভা'৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে আর্সেনাল তাকে ধার দেয় জেনিট সেন্ট পিটার্সবার্গ'কে, যে জেনিট থেকেই আর্শাভিন গানার'দের কাছে এসেছিলেন৷ জেনিট'এ থাকবেন জুলাই অবধি৷ তাতে আর্শাভিন'এর আপত্তি থাকার কথা নয়৷ পেশাদারি জীবনে খেলেছেন মাত্র এই দু'টি ক্লাবের হয়ে৷ সেন্ট পিটার্সবার্গে তাঁর জন্ম, দেশ, মানে রাশিয়াকে ভালোবাসেন মনপ্রাণ দিয়ে৷

২০০৯ সালে আর্শাভিন যখন আর্সেনালে যান, তখন তাঁর কাছ থেকে এক ধরণের প্রত্যাশা ছিল৷ কিন্তু লন্ডনে আর্শাভিন কোনোদিনই স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি৷ এছাড়া বাদ সাধে ইনজুরি৷ বলতে কি, আর্শাভিন এ বছর জেনিটে ফিরেছেন শুধুমাত্র একটিমাত্র লক্ষ্য নিয়ে: তিনি আবার রুশ দলে থাকতে চান, খেলতে চান৷

দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার ওলন্দাজ কোচ ডিক আডভোকাট'এর উপস্থিতি আর্শাভিনের খেলোয়াড়ি জীবন জুড়ে, কেননা আডভোকাট ২০০৬ সাল যাবৎ জেনিট'এরও কোচ৷ এই তো, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে একটি ফ্রেন্ডলি'তে আর্শাভিন বহুদিন পরে তাঁর প্রথম ‘আন্তর্জাতিক' গোলটি করার পর সাইডলাইনে কোচ আডভোকাট'এর দিকে ছুটে যান - এবং আডভোকাট সস্নেহে আর্শাভিন'এর মস্তকচুম্বন করেন৷ ফুটবলের একটি আবেগপূর্ণ মুহূর্ত৷

epa03134530 Arsenal's Tomas Rosicky celebrates after scoring the 2-0 lead during the UEFA Champions League round of 16 second leg soccer match against AC Milan in London, Britain, 06 March 2012. EPA/KERIM OKTEN +++(c) dpa - Bildfunk+++
চেক প্রজাতন্ত্র দলের ক্যাপ্টেন টোমাস রসিচকিছবি: picture-alliance/dpa

চেকদের ‘খুদে মোৎসার্ট'

ইনজুরির সমস্যা তো শুধু একা আর্শাভিন'এর নয়, চেক প্রজাতন্ত্র দলের ক্যাপ্টেন টোমাস রসিচকি সম্পর্কেও এককালে অনেকের উচ্চাশা ছিল৷ রসিচকি'ও আজ খেলেন গানার'দের হয়ে৷ ৩১ বছর বয়সী মিডফিল্ডার৷ মাসের পর মাস ইনজুরির জন্য বেঞ্চে বসে কাটানোর পর সম্প্রতি রসিচকি'কে যেন তার পুরনো ফর্মে ফিরতে দেখা গেছে৷ ফ্যানরা তাঁকে মার্চ আর এপ্রিলে ‘আর্সেনালের সবচেয়ে সৃজনীশীল খেলোয়াড়' হিসেবে নির্বাচন করেছে৷

অন্যরা ভাবছেন ইউরো ২০০৪ সালের চেক দলের কথা: মাঝমাঠে পাভেল নেডভেড, কারেল পোবোর্স্কি, ভ্লাদিমির স্মিশার ও রসিচকি স্বয়ং৷ ডিফেন্স-সর্বস্ব গ্রিকরা এই দলকে সেমিফাইনালে আটকায়৷ রসিচকি সে সময় জার্মানির ডর্টমুন্ড দলের ধ্বজা উড়োচ্ছেন৷ স্বদেশের মানুষ তাঁকে ‘খুদে মোৎসার্ট' নাম দিয়েছে৷ ইনজুরির ছায়া পড়েনি তখনও এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়টির জীবনে৷

২০০৮ সালের জানুয়ারিতে একটি তলপেটের ইনজুরির ফলে রসিচকি ইউরো ২০০৮ থেকেই বাদ পড়েন৷ ১৮ মাস ধরে চলে সেই পর্ব৷ তবে ইউরো ২০১২'র কোয়ালিফাইং অভিযানে রসিচকি চেকদের নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন এবং চেক দল এই নিয়ে পর পর পঞ্চমবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য কোয়ালিফাই করতে পেরেছে৷

‘‘এবারেও আমরা সকলের পক্ষে অস্বস্তিকর প্রতিদ্বন্দ্বী হব,'' ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন টোমাস রসিচকি৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (এএফপি)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ