1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশু ‘শিকারি’ রাষ্ট্রদূত!

২৭ মে ২০১৪

ইটালির এক কূটনীতিক ফিলিপাইন্সে গ্রেপ্তার হয়েছেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দরিদ্র পরিবারের তিনটি শিশুকে তিনি যৌন নির্যাতন করেছেন৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে দীর্ঘ কারাবাস বরণ করতে হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/1C7Ac
Symbolbild Kindesmissbrauch Missbrauch sexuelle Gewalt
প্রতীকী ছবিছবি: Fotolia/Kitty

ক’দিন আগেও তুর্কমেনিস্তানে ইটালির রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন দানিয়েল বসিয়ো৷ ৪৬ বছর বয়সি এই কূটনীতিক গত মাসে ম্যানিলায় ছুটি কাটাতে গিয়ে পড়েছেন গ্যাঁড়াকলে৷ ফান পার্কে ‘ফান’ করতে গিয়েছিলেন৷ সঙ্গে ছিল ৯ থেকে ১২ বছর বয়সি তিনটি শিশু৷ শিশুদের সঙ্গে পানিতে দাপাদাপি করেছেন অনেক৷ সেই ফাঁকে তাদের সঙ্গে নাকি তিনি আপত্তিকর আচরণ করেছেন৷ অভিযোগ উঠেছে এমনই৷ আর এই অভিযোগ তুলেছে ফিলিপাইন্সেরই এক শিশু অধিকার সংরক্ষণ সংস্থা৷

সংস্থাটির দাবি, ম্যানিলার কাছের এক ফান পার্কে শিশুদের সঙ্গে ইটালীয় কূটনীতিকের আপত্তিকর আচরণ করার দৃশ্য তাদের কর্মীরাই দেখেছেন৷ পুলিশও ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে তাঁকে৷ দানিয়েল বসিয়ো বলছেন, তিনি ওই তিন শিশুকে ফান পার্কে স্রেফ আনন্দ উপভোগে সহায়তা করছিলেন, আপত্তিকর কিছু করেননি৷ এভাবে অভিযোগ অস্বীকার করে অবশ্য লাভ হয়নি৷ কারণ, ইটালি সরকার ইতিমধ্যে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করেছে তাঁকে৷

আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি৷ সেখানেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বসিয়ো৷ তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, বসিয়োর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ বাদি পক্ষের উকিল আগ্রিপিনো বেবে জানান, অভিযুক্ত কূটনীতিক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি সত্যি নয়৷ বেবে-র দাবি, প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ অনুযায়ী এটা পরিষ্কার যে, দানিয়েল বসিয়ো শিশুদের জননাঙ্গ বা যৌনাঙ্গে হাত বোলানো ছাড়াও এমন আরো কিছু কাজ করেছেন, যা নিঃসন্দেহে যৌন নিপীড়ন

আগ্রিপিনো বেবে মনে করেন, ফিলিপাইন্সের শিশু অধিকার আইন অমান্য এবং শিশু পাচার করার অপরাধে বসিয়োর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত৷ এই দুটি অপরাধ প্রমাণিত হলে ইটালীয় এই কূটনীতিককে ছয় বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাবাস ভোগ করতে হতে পারে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য