1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ‘ইসলাম আইন’ হবে না

৪ এপ্রিল ২০১৭

সিডিউ-এর একাংশ জার্মানিতে ইসলাম চর্চায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের লক্ষ্যে যে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব রেখেছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ম্যার্কেল সরকার৷ জানানো হয়েছে, জার্মানিতে সবার ধর্মচর্চার সাংবিধানিক অধিকার বজায় থাকবে৷

https://p.dw.com/p/2adSR
Berlin Bundeskanzlerin Angela Merkel
ছবি: Reuters

আগামী সেপ্টেম্বরে জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন৷ ম্যার্কেল চতুর্থ বারের মতো চ্যান্সেলর হতে পারবেন কিনা তা সেই নির্বাচনের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করছে৷ ফলে নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রধান শরিক দল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)-ও সার্বিক প্রস্তুতি শুরু করেছে৷ এ পর্যায়ে দলের একটি অংশ জার্মানিতে বসবাসরত মুসলমানদের জন্য ‘ইসলাম আইন' প্রণয়নের প্রস্তাব বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছিল৷ এমন প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ধর্মের নামে বা ধর্মকে ব্যবহার করে অপতৎপরতা চালানোর পথ রুদ্ধ করা৷

প্রসঙ্গত স্মরণ করা যেতে পারে যে, শরণার্থী সংকট ইস্যুতে ‘খোলা দরজা নীতি'র কারণে জার্মানিতে ম্যার্কেলের জনপ্রিয়তা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে৷ ২০১৫ সাল থেকে জার্মানিতে এ পর্যন্ত যে দশ লক্ষের মতো শরণার্থী এসেছে তাদের অধিকাংশই মুসলমান৷ শরণার্থী সংকট শুরুর পর জার্মানিতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা এবং হামলার চেষ্টা হয়েছে৷

এই প্রেক্ষাপটেই সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘ইসলামি আইন' প্রণয়নের প্রস্তাবটি সামনে নিয়ে এসেছিল সিডিইউ-এর একটি অংশ৷ তবে সোমবার ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট বলেছেন, সিডিইউ নেতৃত্বাধীন জোট সরকার সকল ধর্মের মানুষের ধর্মচর্চার স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে, জার্মানির সংবিধানেও সেই স্বাধীনতার স্পষ্ট স্বীকৃতি রয়েছে, সুতরাং সরকার কখনোই এমন আইন প্রণয়ন করবে না৷

জানা গেছে, ‘ইসলাম আইন' প্রণয়নের প্রস্তাব সিডিইউ দলের অভ্যন্তরেও বিরোধিতার মুখে পড়েছে৷

শরণার্থী সংকট ঘনীভূত হওয়ার পর অভিবাসনবিরোধী দল এএফডি-র জনপ্রিয়তা খুব দ্রুতই বাড়তে শুরু করেছিল৷ তবে সম্প্রতি অন্তর্কোন্দল এবং নেতাদের পরস্পরবিরোধী বিবৃতির কারণে দলটির জনপ্রিয়তায় ভাটার টান লক্ষ্য করা গেছে৷

এসিবি/এসবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য