1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এ বছর ১৪ লক্ষ শিশু দুর্ভিক্ষে মারা যেতে পারে!

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এই আশঙ্কা করছে৷ নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান আর ইয়েমেনের শিশুরা চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে বলে সোমবার জানায় সংস্থাটি৷ এদিকে, দক্ষিণ সুদানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2XxDW
Unterernährung im Jemen
ছবি: Getty Images/B. Stirton

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এই আশঙ্কা করছে৷ নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান আর ইয়েমেনের শিশুরা চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে বলে সোমবার জানায় সংস্থাটি৷ এদিকে, দক্ষিণ সুদানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে৷

ইউনিসেফ বলছে, ইয়েমেনের প্রায় চার লক্ষ ৬২ হাজার এবং উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ার সাড়ে চার লক্ষ শিশু তীব্র পুষ্টিহীনতার শিকার৷

‘ফিউজ নেট' নামে  দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা বলছে, গত বছরের শেষ দিক থেকে নাইজেরিয়ার বর্নো রাজ্যে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি চলছে৷ ত্রাণ সংস্থাগুলো ঐ অঞ্চলে যেতে পারছে না বলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

এদিকে, তীব্র খরার কারণে সোমালিয়ার প্রায় এক লক্ষ ৮৫ হাজার শিশু দুর্ভিক্ষের শিকার৷ আগামী কয়েক মাসে সংখ্যাটি বেড়ে দুই লক্ষ ৭০ হাজার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ জাতিসংঘ সোমবার জানায়, তারা সোমালিয়ায় ত্রাণ সহায়তা বাড়াচ্ছে৷ দেশটির অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ৬২ লক্ষ মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন বলে জানা গেছে৷

দক্ষিণ সুদানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা

জাতিসংঘের তিন সংস্থা – ইউনিসেফ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা – সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ সুদানের কিছু অংশ দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে৷ এক বিবৃতিতে সংস্থাগুলো জানায়, ‘‘আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অর্থ হচ্ছে সেখানে ইতিমধ্যে মানুষ খেতে না পেয়ে মারা যাওয়া শুরু হয়েছে৷ তিন বছর আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বর্তমান সময়েই সেখানকার ক্ষুধা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ৷''

বিশ্বের সবচেয়ে নবীন দেশটিতে দুর্ভিক্ষের আরেক কারণ খরা হলেও সেখানে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ যুদ্ধের কারণে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সংস্থাগুলোর যেতে না পারা৷

দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর চেয়ারম্যান ইসাইয়াহ চোল আরুআই বলেন, ‘‘তথ্য-প্রমাণ বলছে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলা, খাবারের উচ্চমূল্য, অর্থনৈতিক সংকট, কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে প্রায় ৪৯ লক্ষ মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় রয়েছে৷'' সংখ্যাটি দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪২ শতাংশ৷

জাতিসংঘের তিন সংস্থা আশঙ্কা করছে, আগামী মাসগুলোতে দেশটির আরও প্রায় দশ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের শিকার হতে পারে৷ দেশটিতে সম্ভাব্য গণহত্যার আশঙ্কা করছে তারা এবং এই পরিস্থিতি উন্নতির কোনো আশা দেখছেন না তারা৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ) 

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান