1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক কাগজেই বারবার প্রিন্ট!

১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

এমন এক অভিনব উপায়ের কথা বলছেন চীনা বিজ্ঞানীরা৷ সম্প্রতি এ বিষয়ে তাদের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷ এক্ষেত্রে কালির পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে পানি৷

https://p.dw.com/p/1Azv0
Symbolbild Bürokratie /Papierstapel
ছবি: Fotolia/kristall

বিষয়টা এরকম– যে কাগজে প্রিন্ট নেয়া হবে সেটাতে আগে থেকেই অদৃশ্য রঞ্জক পদার্থ মেশানো থাকবে, যে পদার্থটা পানির সংস্পর্শে রঙিন হয়ে ওঠে৷ এক্ষেত্রে কার্টরিজে কালির পরিবর্তে পানি দিতে হবে৷ আর প্রিন্টারটা যে-কোনো প্রিন্টার হলেই চলবে৷

এভাবে যে প্রিন্ট বেরিয়ে আসবে সেটা ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত পড়া যাবে৷ এরপর কাগজ থেকে লেখা মুছে যাবে৷ ফলে ঐ একই কাগজ আবারও প্রিন্টারে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে৷ অবশ্য কেউ যদি ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে না চান, তাদের জন্যও বিজ্ঞানীরা একটি যন্ত্র বের করার চেষ্টা করছেন৷ সেটা যদি সম্ভব হয়, তাহলে প্রিন্ট করা লেখা পড়া শেষ হওয়ার কাগজটা মেশিনে ঢুকিয়ে দিলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লেখাগুলো মুছে যাবে৷

চীনের জিলিন ইউনিভার্সিটির রসায়নের অধ্যাপক সিন শিয়াও-অ্যান জাং গবেষণা কাজের তত্ত্বাবধান করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, অফিস-আদালতে প্রিন্ট দিয়ে বের করা কাগজের প্রায় ৪০ শতাংশই মাত্র একবার পড়ার পর ফেলে দেয়া হয়৷'' এ কারণে পানি দিয়ে প্রিন্ট করলে কাগজের অপচয় কমানো সম্ভব হবে৷ এতে যেমন অর্থ বাঁচবে, তেমনি বাঁচবে পরিবেশও৷ কারণ কাগজ উৎপাদনের জন্য ব্যাপকহারে গাছ কাটা পড়ে৷

জাং বলেন, রঞ্জক পদার্থ মেশানো কাগজ ব্যবহার ‘খুবই নিরাপদ'৷ অবশ্য বিষয়টা এখনো প্রমাণিত হয়নি৷ তবে ইঁদুরের উপর গবেষণা চলছে৷

চীনা বিজ্ঞানীদের গবেষণাটি ‘নেচার কমিউনিকেশনস' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷

প্রিন্ট করা কাগজ পুনরায় ব্যবহারের উপায় বের করার চেষ্টা বিজ্ঞানীরা অনেকদিন ধরেই করছেন৷ তবে জনপ্রিয় হওয়ার মতো কোনো উপায় এখনো বের করা সম্ভব হয়নি৷ দেখা যাক, চীনাদের এই গবেষণা সফল হয় কিনা৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য