1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া সংকট

১৯ আগস্ট ২০১৬

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে মানবিক বিপর্যয়ের অবসানের কোনো সম্ভাবনা না উঠে এলেও কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷ রাশিয়া জানিয়েছে, সে দেশ আগামী সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে প্রস্তুত৷

https://p.dw.com/p/1JlKJ
আলেপ্পো
ছবি: picture-alliance/AA/M. Rslan

আলেপ্পো শহরের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে একটি অসহায় শিশুর ছবি৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, এক ধ্বংসস্তুপ থেকে তাকে উদ্ধার করার পর বিহ্বল অবস্থায় শিশুটি বসে আছে৷ এই শক্তিশালী প্রতীকী ছবিটি গোটা বিশ্বে যে আবেগ সৃষ্টি করেছে, সম্ভবত তার জের ধরেই বিবাদমান দুই পক্ষ তাদের সুর কিছুটা নরম করছে৷

@dwnews - Picture of bloodstained Aleppo boy moves social media

একদিকে রাশিয়া সমর্থিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী৷ অন্যদিকে বিদ্রোহীদের জোট৷ আলেপ্পো শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে জোরালো সংঘর্ষ৷ যেসব মানুষ এখনো শহর ছেড়ে চলে যেতে পারেনি, তাদের জন্য এই পরিস্থিতি এক মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে৷ খাদ্য, পানীয়, রসদের অভাবে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে৷ এই অবস্থায় অস্ত্রবিরতি ছাড়া জরুরি ত্রাণ সরবরাহ সম্ভব নয়৷ আগামী সপ্তাহে ‘পরীক্ষামূলকভাবে' ৪৮ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি মেনে নিতে রাজি হয়েছে রাশিয়া৷ জাতিসংঘের ত্রাণসাহায্য যাতে নির্বিঘ্নে শহরে প্রবেশ করতে পারে, তার জন্য সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে চায় সে দেশ৷

সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টাফান দে মিস্তুরা রাশিয়ার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ জাতিসংঘ এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার কথার উপর নির্ভর করবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ বিশেষ করে আসাদ বাহিনীর রাশ টেনে ধরতে মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ উল্লেখ্য, সিরিয়ায় মানবিক সাহায্য বিতরণ করতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে৷ কিন্তু লাগাতার সংঘর্ষের ফলে গত এক মাসে একবারও ত্রাণ বিতরণ করা সম্ভব হয়নি৷

মানবিক বিপর্যয়ের সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে মার্কিন প্রশাসন সাময়িক যুদ্ধবিরতির বদলে এক স্থায়ী বন্দোবস্তের ডাক দিয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন আলেপ্পো শহরে অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধ করে ত্রাণ ও ওষুধপত্র বিতরণ এবং জরুরি অবকাঠামোর মেরামতি সম্ভব করার আহ্বান জানিয়েছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য